ফের চাঁদের উদ্দেশে জাপানের মহাকাশযান ‘স্লিম’
বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আবারও জাপানের একটি রকেট চাঁদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে এটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারে বলে আশা করছে দেশটির মহাকাশ সংস্থা জাক্সা।
এইচ২-এ রকেটটি দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কয়েকবার এর উৎক্ষেপণ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে ভারত প্রথম দেশ হিসেবে সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ নামে একটি মহাকাশযান অবতরণ করাতে সফল হয়।
জাপানের রকেটটিতে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডার আছে, যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা স্লিম। এটি চাঁদে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণের চেষ্টা করবে, যা আগে কখনও সম্ভব হয়নি। এর আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের বেশ কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ল্যান্ডারগুলো নেমেছে।
রকেট উৎক্ষেপণের আগে জাক্সা জানায়, স্লিম ল্যান্ডার সফলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে নামতে সফল হলে ভবিষ্যতে মানুষ যেখানে চায় সেখানে অবতরণ করতে পারবে–এখন শুধুমাত্র যেখানে অবতরণ করা সহজ, সেখানে অবতরণ করা হচ্ছে৷ এছাড়া স্লিম ল্যান্ডার সফল হলে ভবিষ্যতে চাঁদের চেয়ে কম সম্পদ আছে এমন কোনো গ্রহেও যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
জাপানের রকেটটিতে জাক্সা, নাসা ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার তৈরি একটি গবেষণা উপগ্রহও আছে। এটি মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গরম গ্যাস প্লাজমা বায়ু পর্যবেক্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এটি ভর ও শক্তি প্রবাহের পাশাপাশি মহাজাগতিক বস্তুর গঠন এবং বিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে।
জাপানের অতীত ব্যর্থতা
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে ওমোতেনাশি নামে একটি ল্যান্ডার চাঁদে পাঠিয়েছিল। কিন্তু অবতরণের আগেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটি সফল হলে ওমোতেনাশি হতো চাঁদে অবতরণ করা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ল্যান্ডার।
এ ছাড়া গত এপ্রিলে জাপানের একটি স্টার্টআপ ‘আইস্পেস’ চাঁদে অবতরণকারী প্রথম বেসরকারি কোম্পানি হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন চাঁদে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে।