চলুন ঘুরে আসি বালি থেকে
বালি ভ্রমণকারীদের জন্য প্রিয় গন্তব্যগুলির মধ্যে অন্যতম । এখানকার নীল জলরাশি মুগ্ধ করে সবাইকে। বালির সংস্কৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানকার স্থানীয়রা সাদরে গ্রহণ করে নেন পর্যটকদের। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও অসংখ্য পর্যটক যান এই বালিতে।
তানাহ লট মন্দির
বালির এই মন্দিরটি সমুদ্র দেবতাদের জন্য । এটি একটি সাংস্কৃতিক আইকনও বটে। মন্দিরটি উপকূলের একটি বড় পাথরের উপর স্থাপন করা হয়েছে। সন্ধ্যা বেলায় সূর্যাস্তে মন্দিরটি মনোমুগদ্ধকর দৃশ্য দেবে আপনাকে। ফটোগ্রাফারদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় স্থান।
বালির আচার অনুষ্ঠান
বালির সংস্কৃতি ও আচার অনুষ্ঠান এখানকার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানকার স্থানীয়রা ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এখানকার আচার অনুষ্ঠানগুলি বেশ রঙিন। যা দেখতে হাজার হাজার পর্যটক বালিতে আসে।
গিটগিট জলপ্রপাত
বালিতে অনেক জলপ্রপাত রয়েছ। তার মধ্যে গিটগিট জলপ্রপাত সব থেকে বিখ্যাত। ১৩০ ফুট গভীরে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। পর্যটকরা এর নিচে সাঁতার কাটেন। প্রথম দর্শনেই এটি আপনাকে আপনার শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে।
মাউন্ট বাতুর
মাউন্ট বাতুর হল বালির একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ২-৩ ঘন্টা হাইক করে ভ্রমণকারীরা এটি দেখতে আসেন। এই আগ্নেয়গিরিটি মাউন্ট আগুং-এর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
পুরা লেম্পুয়াং
পুরা লেম্পুইয়াং বালির একটি বিখ্যাত মন্দির। পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ছবি তুলে থাকেন এই মন্দিরের সামনে। মন্দিরটি মাউন্ট লেম্পুইয়াং এর উচ্চভূমিতে স্থাপিত। এটি স্বর্গের দরজা হিসাবেও পরিচিত।
তেগালালং রাইস টেরেস
যারা এলিজাবেথ গিলবার্টের ‘ইট প্রে লাভ’ পড়েছেন, তাদের জন্য এটি একটি উত্তম স্থান। এখানে গেলে আপনার মনে হবে এই গল্পতে উল্লেখ করা টেরেসগুলিতেই আপনি আছেন। সকালের সূর্যের আলো এখানকার সবুজের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখে মনে হবে আপনি যেনো স্বর্গে আছেন।
পুরা উলুন দানু বেরাতন মন্দির
এই মন্দিরটি ব্রাটান হ্রদের তীরে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে এটি একটি পবিত্র স্থান। মন্দিরটি পানি, নদী এবং হ্রদের দেবী, দানুকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
তির্তা এমপুল মন্দির
তির্তা এমপুল মন্দির ধর্মীয়নুষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত। এটি পানির দেবতা বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। মন্দিরটি তার পবিত্র ঝরনার পানির জন্য বিখ্যাত। স্থানীয়রা এখানকার পানি পরিশোধন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করেন।