বেলগ্রেড জাদুঘর : ইতিহাসের পাঠে ভালোবাসার রসায়ন
গাড়ি এসে দাঁড়াল বিশাল এক ভবনের সামনে। লালচে-সাদা-তামাটে ভবন। আকাশে তখনও মেঘের ঘনঘটা, টাপুরটুপুর ঠাণ্ডা বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে গাড়ি থেকে নামি।
ভবনের আয়তনের তুলনায় দরজাটি ছোট। আশপাশে তাকালাম, হদিস পেলাম না। অন্যদিকে আরও দরজা থাকতেও পারে। ভবনটি সার্বিয়ার জাতীয় জাদুঘর।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ন্যামের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আমি একজন সদস্য। সম্মেলনের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে দেখার আয়োজন। সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষাব্যবস্থাসহ নানা ক্ষেত্রে সার্বিয়ার অবস্থান তুলে ধরতেই ঘোরাঘুরির এই কর্মসূচি। ট্যুর গাইড, গাড়ি, নিরাপত্তা—স্বাগতিক সার্বিয়ার ব্যবস্থাপনাতেই সব। আমাদের টিমের সমন্বয়ক দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিলিচা ক্রিভোকাপিচ। জাদুঘরে যাচ্ছি বলে গাইড হিসেবে যোগ দিয়েছেন মিনিস্ট্রি অব কালচার অ্যান্ড মিডিয়ার সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি মিলঙ্কা ভাসিলজেভিচ।
ভাসেলজিচ রসিক, খুনসুটি করতে শুরু করেছে, সঙ্গে বয়ানও।
‘জাদুঘরে ঘুরতে কে না ভালোবাসে? লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ফ্রান্সের লুভর, মাদ্রিদের প্রাভো—পর্যটকদের পছন্দের আরও কত নাম। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটকের আনাগোনা এসব জাদুঘরে। লন্ডনে হাতপাখার জাদুঘর আর প্যারিসে ড্রেনেজ মিউজিয়াম অদ্ভুত খেয়ালে তৈরি। সুযোগ পেলে একবার দেখে এসো।’
ন্যাশনাল মিউজিয়ামের অবস্থান নগরীর টিআরজি রিপাবলিক স্কয়ারে। বেলগ্রেড শহরের যেকোনো জায়গা থেকেই ব্যক্তিগত যান, বিভিন্ন রাইডিং শেয়ারের গাড়ি, পাবলিক বাস বা মেট্রোরেলে করে সহজেই যাওয়া যায়। উদ্যমীদের জন্য পায়ে হাঁটা পথই ভালো। সব দেশেই একটা করে জাতীয় জাদুঘর থাকে হয়তো। ১৮৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘরটি সার্বিয়ার বৃহত্তম আর বয়সের দিক থেকেও পুরোনো। সার্ব লেখক জোভান স্টেরিজা পপোভিচ এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা। শতাব্দীপ্রাচীন এ জাদুঘরে প্রায় চার লাখেরও বেশি প্রত্নবস্তু সংরক্ষিত আছে। যার মধ্যে রয়েছে দুর্লভ সব অঙ্কন, পেইন্টিং এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় নিদর্শনের বিশাল সংগ্রহ।
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকি। মাঝের প্রান্তটা ফাঁকা, ওপরে ভবনের ছাদ পর্যন্ত। সিঁড়ি বেয়ে এঁকেবেঁকে ওপরের তলাগুলোতে উঠতে হয়। বেলগ্রেডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম বা জাতীয় জাদুঘর তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত : ফ্রেস্কো গ্যালারি মিউজিয়াম অব ভুক, ডসিটেজ মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অফ নাদেজদা ও রাস্টকো পেট্রোভিচ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত দগদগে ছিল এ জাদুঘরেও। পরে ১৯৬৪ সালে সংস্কারের মাধ্যমে আগের আসল চেহারায় ফিরিয়ে আনা হয় একে। মধ্যযুগীয় শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহ রয়েছে। রয়েছে অষ্টম ও নবম-শতাব্দীর চিত্রশিল্পীদের সংগ্রহ। বিদেশি শিল্পকর্মের সংগ্রহও দেখার মতো।
বাঙালির পায়ের নিচে না কি সরষে! সুযোগ পেলেই মন উড়ুউড়ু। হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে যখন এলামই, তখন যত পারি ঘুরে দেখার সুযোগ মিস করব কেন? ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শনে ভরপুর সার্বিয়া। জল-জঙ্গল আর পাহাড়ের অপূর্ব মিশেল, সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি। আমার মনও তাই অস্থির। নতুন নতুন জায়গায় যাব, ছবি ওঠাব। বেশিক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়ানোর দরকার কী? চোখে দেখে কী আর ক্যাসেলের ইতিহাস জানা যাবে? নির্মাণশৈলীতে মুগ্ধ হওয়ার পর ইতিহাস জানতে তাই ভরসা বইপুস্তক। জাদুঘরের রিসিপশন থেকে তাই কয়েকটি ইংরেজি-সার্বিয়ান বই, ম্যাগাজিন ও লিফলেট তুলে নিই।
সাদা দেয়ালে সারি সারি ছবি সাজানো। এসব ছবি যেন স্পন্দন ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো গ্যালারিতে। যদিও সাজানো এসব ছবির অনেকগুলোই আসল নয়, মূল ছবির অনুলিপি। এমন অনেক ছবিও আছে, যেগুলো খুব বেশি পরিচিতি না পেলেও শিল্পমানের দিক থেকে অনেক ওপরে। নিজের আগ্রহ থেকেই তাই ছবিগুলো ঘুরে ঘুরে দেখি। যদিও অনেক ছবির গূঢ় অর্থই বুঝি না। ফরাসি মাস্টার সংগ্রহের গ্যালারি জাতীয় জাদুঘরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ গ্যালারির একটি। ইতালীয় আর্ট কালেকশনে রয়েছে ২৩০টিরও বেশি শিল্পকর্ম। এ অংশটি ১৪ থেকে ২০ শতক পর্যন্ত স্বতন্ত্র শিল্পীদের সৃজনশীল শৈল্পিক কর্মশালার ফল।
এসব ছবি কি শুধুই বিমূর্ত ছবি? আসলেও কি তাই? আমাদের যা আছে, সেই বাস্তবতার প্রতিফলন একেকটি ছবিতে। ছবিগুলোর মাঝে যেই মানুষগুলোকে দেখা যায়, তারা বাস্তব জীবনের ঘটনারই অংশ। একেকটা ছবির রং ও ঢং একেক রকম। কোনোটাতে রঙের ব্যবহারে অনেক বেশি প্রাণোজ্জ্বল, স্বতঃস্ফূর্ত। কোনোটাতে রঙের আবছায়া বিচরণ। গ্যালারির একেক পাশে একেক রঙের বেশি ছাপ টের পাওয়া যায়। খুবই ব্যক্তিগত চিন্তার জায়গাগুলোতে যেমন নীল ছুঁয়ে যায়, আবার প্রকৃতির গল্পে অবধারিতভাবেই মূল চরিত্র হয়ে ওঠে সবুজ। কিছু ছবির মাঝে নদী আছে, সেখানে পানির রঙের আধিক্য। কখনও কখনও বিশেষ মুহূর্তের ছবিতে আবার রংগুলো খুবই পরিপাটি, একটু অনুজ্জ্বল, যেন একে অপরের সম্পূরক ওরা।
তিন তলায় দৈর্ঘ্য-প্রস্থে সমান আয়তনের কয়েকটি রুম। রুমগুলো বিভিন্ন ধরনের চিত্রকলায় ঠাসা। মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের স্থলবেষ্টিত দেশ সার্বিয়া। এর শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস বহু পুরোনো। কি শিল্প, কি সাহিত্য, কি সংস্কৃতি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের রয়েছে সমৃদ্ধ অতীত। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এ দেশের কৃষ্টি-কালচার প্রাচীনকাল থেকেই বেশ সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। এর সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন ভাসেলজিচ। সে সংস্কৃতিমনা, চিন্তাভাবনা আর মানসিকতাও উদার। ঘুরে দেখানোর সঙ্গে রয়েছে তার বর্ণনাও।
ডাচ ও ফ্লেমিশ সংগ্রহে ৫০০টিরও বেশি ছবি। এর মধ্যে রয়েছে ২১০টি চিত্রকর্ম ও ২২০টি গ্রাফিক্স। খোদাই করা অঙ্কনকর্ম রয়েছে ৮০টির বেশি। বেলগ্রেডের ন্যাশনাল মিউজিয়ামই বিশ্বের প্রথম জাদুঘর, যেটি স্থায়ী প্রদর্শনীতে একটি পিয়েট মন্ড্রিয়ান পেইন্টিং অন্তর্ভুক্ত করে। একজন শিল্পী প্রকৃতি ও মানবিক সম্পর্কের নানা রূপ তুলে ধরেন। সেই ছবিতে নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর স্বপ্নিল পরিবেশ রয়েছে, রয়েছে মর্ত্যলোকের নানা টানাপোড়েনের গল্প। ক্যানভাসের এক কোনা থেকে আরেক কোনা পর্যন্ত দৃষ্টি ঘুরিয়ে আনতে হয়; কারণ, ছোট ছোট ডিটেইলগুলো চোখের মণি ঘুরিয়ে আনে। একেবারেই অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখা দৃশ্যগুলোতে শিল্পী বসিয়ে দেন, তাঁর দেখা চারপাশের মানুষগুলোকে। শিল্পীর আঁচড়ে স্থান পায় আশপাশের প্রকৃতি, অতীত, ঐতিহ্য, ইতিহাসের বিবর্তন আর পরিবর্তনের ধারাক্রম। এসব দেখে বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করি। শিল্পীর প্রেরণায় বিমূর্ততার মাঝে, ক্ষুদ্র আলোর মতো দেখা মেলে বাস্তবতার।
ফ্রেঞ্চ আর্ট কালেকশনে ২৫০টিরও বেশি পেইন্টিং রয়েছে। এখানে আছে ৪০০টিরও বেশি গ্রাফিক্স ও অঙ্কন। অধিকাংশই ১৬ থেকে ২০ শতকের গোড়ার দিকের। রয়েছে স্লোমোভিক কালেকশনসহ ৫৮ পেইন্টিং ও ২০০টিরও বেশি গ্রাফিক্স। সবচেয়ে বিখ্যাত সংগ্রহের একটি হলো বিরল সোনার সারকোফ্যাগাস এবং মিশরীয় পুরোহিত নেসমিনের মমি। জাতীয় এ জাদুঘরের নিউমিসম্যাটিক কালেকশনে রয়েছে তিন লাখেরও বেশি আইটেম; যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন মুদ্রা, পদক, আংটি, সিল ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত গাড়িওয়ালাদের ঝামেলায় পড়তে হবে পার্কিং নিয়ে। কেননা, মিউজিয়ামের নিজস্ব কোনো পার্কিং নেই। তবে আশপাশে কয়েকটি গ্যারেজ আছে, যেখানে ফি পরিশোধ করে গাড়ি পার্কিং করা যায়। মঙ্গল, বুধ, শুক্র ও রোববার জাদুঘরটি খোলা থাকে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখতে পারেন। সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে এটি। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব বেলগ্রেডে ঢুকতেও দর্শনার্থীকে পকেটে হাত দিতে হবে। একজনের জন্য একবার লাগে ৩০০ সার্বিয়ান ডলার। এটি বেড়ে ৫০০ ডলার হয়, যখন জাদুঘরে কোনো প্রদর্শনী থাকে। বিভিন্ন গ্যালারি ঘুরে দেখার জন্য গুনতে হবে ৪৫০ সার্বিয়ান ডলার। তবে গ্রুপ করে গেলে কিংবা ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।
জাতীয় জাদুঘরে ১২ শতকের মিরোস্লাভের গসপেল সংরক্ষিত রয়েছে, যা সার্ব সংস্কৃতির সবচেয়ে মূল্যবান ও প্রাচীনতম নিদর্শন। দুজন সন্ন্যাসী এ গসপেল রচনা করেন। সিরিলিক পাণ্ডুলিপি সাংস্কৃতিক ভাণ্ডার রয়েছে এই জাদুঘরে। জাদুঘরটি ইউনেসকোর প্রোগ্রাম ‘মেমোরিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর অধীনে সুরক্ষা পেয়ে আসছে। জাতীয় জাদুঘর ভবন নির্মাণের আগে এ স্থানে ‘দারদানেলেস’ নামে সরাইখানা ছিল, যা ছিল সেই সময়ের সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অভিজাতদের মিলনস্থল।
হেঁটে বেড়াই, ঘুরে দেখি চারপাশ। কতশত নির্দশন, প্রত্যেকটাই একেকটা ইতিহাস। তুলে ধরছে হাজার বছরের অতীতকে। এই সপ্তাহখানেক পর যখন আমরা ফিরে যাব বাংলাদেশে, এই ভাসেলজিচও ফেলে আসা স্মৃতি হয়ে যাবে! আমি যেমন দৈনন্দিন কাজে ডুবে থাকব, সেও ব্যস্ত হয়ে পড়বে তার কাজে। তাকে রবিঠাকুরের কবিতা শোনাই :
‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?
তারি রথ নিত্য উধাও।
জাগিছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন
চক্রে পিষ্ট আধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।
ওগো বন্ধু,
সেই ধাবমান কাল
জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল
তুলে নিল দ্রুতরথে
দু’সাহসী ভ্রমণের পথে
তোমা হতে বহু দূরে।’
ভালোবাসার এমন বন্দনা যাঁর মুখে, তিনি একজন কবি, প্রেমিক, একজন চিত্রীও বটে। কবিতায় তিনি বিশ্বজয় করেছেন। রবিঠাকুরের বহুমুখী প্রতিভার মধ্যে চিত্রকলাও রয়েছে। বয়স যখন পরিণত, তখন কবি ভাবলেন, চিত্রকলার আঁকিবুকি দরকার। সেই ভাবনা থেকে শুরু, ১৯২৪ থেকে ১৯৪১ সাল—এই কয়েক বছরে এঁকে ফেললেন আড়াই হাজারেরও বেশি ছবি।
ভাসেলজিচ আমার হাত ধরে টান দিল। তাকালাম, চোখের ইশারা করল। কোনো কথা নেই, ওর পেছনে হাঁটা শুরু করি। এঁকেবেঁকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম। এক্কেবারে মিউজিয়ামের বাইরে। উপরে ত্রিপলা, নিচে দোকান। ঠিক যেন আমাদের দেশের চা-বিড়ির টং দোকান। ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। বৃষ্টির দিনে আয়েশের আয়োজন। মুখে একরাশ হাসি এনে ভাসেলজিচের পরামর্শ, বই পড়ে জাদুঘরের সব জেনে নিও।
ভাসেলজিচ—প্রাণচঞ্চল এক তারুণ্য। যে প্রেম বোঝে, ভালোবাসার মানে যার কাছে বাস্তবতা, সেই মেয়েটিও স্মৃতির পালে ঢাকা পড়ে যাবে। ২০ শতকের রবীন্দ্রনাথ, ১৪ শতকের ডকানস্কির সারকোফ্যাগাস, ১৩ শতকের মিলুটিনের ম্যান্টেল—বিখ্যাত এসব প্রেমিকপুরুষদেরই বা কে মনে রেখেছে? ছোটগল্পের এই জীবন-ক্যানভাসে পড়েছে বহু রংতুলির আঁচড়, শক্ত শিরিশ কাগজের মাজুনিতে দিনশেষে তটস্ত দিনযাপন। যেখানে মনটা মৃত, অনুভূতিগুলোও রোমান্সহীন। মাঝেমধ্যে ভাসেলজিচরা ক্লান্ত হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে, কিন্তু ওই যে, রসায়নের জটিল বিকিরণে প্রভাবকের ভূমিকা যে সামান্যই। ফলে হৃদয়ে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয় ঠিকই, রেশ রয় না বেশিক্ষণ।