ব্রাসেলসে যে পাঁচ জায়গায় ঘুরবেন
ইউরোপের অন্যতম দেশ বেলজিয়াম। আর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস বেশ পুরোনো শহর। ইউরোপীয় সংস্কৃতি এবং জীবনাচারণের দারুণ সংমিশ্রণ ঘটেছে এই শহরে। ইউরোপে ঘুরতে গেলে ব্রাসেলস ঘোরার শখ থাকে অনেকেরই। ব্রাসেলসে গেলে যে পাঁচটি জায়গায় যেতেই হবে তার একটি তালিকা তৈরি করেছে ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ট্রাভেল ম্যাগাজিন ডটনেট।
১. গ্র্যান্ড প্লেস
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি গ্র্যান্ড প্লেস। ব্রাসেলসের মূল ট্যুরিস্ট স্পট এটি। দুটি ক্ষুদ্র জলাভূমি পরিচিত ব্রয়েক সেলা নামে। আর শহরের নাম ব্রাসেলস হয়েছে এই ব্রয়েক সেলা থেকেই। এই জলাভূমিতেই গড়ে উঠেছে নিদেরমার্কেট যেখানে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড থেকে আনা কাপড় এবং ফরাসি ওয়াইন ও জার্মান বিয়ার বিক্রি করা হয়। গ্র্যান্ড প্লেসকে কেন্দ্র করেই ব্রাসেলসের সবচেয়ে বড় বাজার গড়ে উঠেছে। আড্ডা হোক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি, সবকিছুই অনুষ্ঠিত হয় ব্রাসেলসের এই প্রাণকেন্দ্রে।
২. টাউন হল
গ্র্যান্ড প্লেসের সাথেই টাউন হল। এক জায়গাতেই গেলেই ব্রাসেলসের দুটি ঐতিহ্য দেখে আসা হবে। টাউন হল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৪০২ সালে। আর্চড জানালা এবং বিভিন্ন ভাস্কর্যের সঙ্গে তৈরি টাওয়ার এর রূপ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং বহন করে চলেছে বেলজিয়ামের ঐতিহ্য। যদি আপনার সময় এবং শক্তি থাকে তাহলে ৯৬ মিটার উঁচু ব্রাবানটাইন গোথিক টাওয়ারের চূড়ায় চলে যেতে পারেন, তাহলে একবারে পুরো ব্রাসেলস শহরের এক ঝলক দেখে নিতে পারবেন।
৩. হেইসেল পার্ক এবং অটোমিয়াম
ব্রাসেলস শহরের পশ্চিমে অবস্থিত হেইসেল পার্ক। অবসরে সময় কাটানোর জন্য ব্রাসেলসের নাগরিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হেইসেল পার্ক। আর এই পার্কের মূল আকর্ষণ অটোমিয়াম। ৩৩৫ ফুট উঁচু একটি অ্যাটমের আকৃতি যা পুরোটাই বানানো হয়েছে ইস্পাত দিয়ে। আর অটোমিয়ামের নকশা করেছেন আন্দ্রে ওয়াটারকেইন। ১৯৫৮ সালে পরমাণু যুগের স্মৃতিস্বরূপ এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
৪. কোয়েকেলবার্গ বাসিলিকা
পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম চার্চ এটি। ব্রাসেলসের কোয়েকেলবার্গ মিউনিসিপিলিটিতে অবস্থিত এই চার্চটি। এটি ৮৯ মিটার উঁচু এবং ১৬৭ মিটার দীর্ঘ জায়গা জুড়ে অবস্থিত। ১৯০২ সালে রাজা লিওপোল্ড চার্চটি বানানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯০৫ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। বেলজিয়ামের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে ১৯৭১ সালে চার্চটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
৫. রয়েল মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস
এখানে দুটি জাদুঘর রয়েছে। ‘দ্য মিউজিয়াম অব এনশিয়েন্ট আর্ট’ নির্মাণ করেছিলেন নেপোলিয়ন। আরেকটি জাদুঘর হচ্ছে ‘মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট’। ১৯৮৪ সালে এই জাদুঘরটি যোগ করা হয় পুরোনো জাদুঘরটির সাথে। নতুন জাদুঘরটি আটতলা বিশিষ্ট। এই দুই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ৬০০ বছরের পুরোনো চিত্রকলা এবং ভাস্কর্য।