বছরের শেষ দিনে কক্সবাজারে বিচ কার্নিভাল
ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সাজছে নতুন করে। কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আয়োজন করা হয়েছে মেগা বিচ কার্নিভাল। আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী মেলায় নতুন করে সাজবে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত।
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ কার্নিভাল আয়োজনের ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির।
পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে কক্সবাজারকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতেই এ আয়োজন। পর্যটন বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পকে সারা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বিচ কার্নিভালে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
যৌথভাবে বিচ কার্নিভাল আয়োজন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বিচ কার্নিভালে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। এ আয়োজনের হেলথ পার্টনার স্যাভলন।
গতকাল শনিবার প্রচারের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিচ কার্নিভালের একটি কাউন্টডাউন ঘড়ি স্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন গানের দল জলের গানের শিল্পীরা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সৈকতে বিচ কার্নিভালের উদ্বোধন হবে সকাল ১০টায়। তিন দিনের এই আয়োজনে দেশের সেরা শিল্পীদের গান, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন, নৃত্য পরিবেশনা, আতশবাজিসহ নানা আয়োজন থাকবে।
মেলায় বিভিন্ন অনুষঙ্গের মধ্যে থাকছে বর্ণিল খাবারের প্রদর্শনী, লোকশিল্পের পসরা, সারা দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলো তুলে ধরার আলাদা আয়োজন, ঘুড়ি উৎসব, প্রদর্শনী, বিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, সার্ফিং, বালুর ভাস্কর্য তৈরি, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। কার্নিভালে পুরো বিচ এলাকা সাজবে নতুন রূপে। সে সঙ্গে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার মতো বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচিও থাকবে কার্নিভালে।
বিচ কার্নিভালে ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড।