কিয়েভের দর্শনীয় পাঁচ স্থান
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ বেশ পুরোনো শহর। অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই শহরের সাথে। ঘোরার জন্য কিয়েভ খুবই ভালো একটি স্থান। বছরে ১৬ লাখ মানুষ কিয়েভ ভ্রমণ করেন। কিয়েভ ভ্রমণে কেন যাবেন? কী দেখবেন কিয়েভে?
১. ক্রেশচাতিক স্ট্রিট
কিয়েভের প্রাণকেন্দ্র ক্রেশচাতিক স্ট্রিট। কিয়েভের ইউরোপিয়ান স্কয়ার থেকে বেসারাবস্কা স্কয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত এই স্ট্রিট। এর সাথেই রয়েছে কিয়েভের প্রশাসনিক ভবনগুলো। রয়েছে কিয়েভের বড় বাজারগুলোও। কেনাকাটার জন্য ক্রেশচাতিক স্ট্রিটের সুনাম রয়েছে। এখানে হাতের কাছেই সব পণ্য পেয়ে যাবেন। এই রাস্তার মধ্যেই প্রচুর ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ পেয়ে যাবেন। তবে দেখলেই কিনে ফেলবেন না, প্রাইস ট্যাগটা পড়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, কারণ এটাই ইউরোপের সবচেয়ে দামি শপিং স্ট্রিট।
২. জাদুঘর
কিয়েভের পেকেরেস্ক এলাকায় রয়েছে মিউজিয়াম অব দ্য গ্রেট প্যাট্রিওটিক ওয়ার। জার্মান-সোভিয়েত যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিশাল একটি জাদুঘর এটি। এর ভেতরে প্রদর্শনের জন্য প্রায় তিন লাখ বস্তু রয়েছে। জাদুঘরটির মাঝখানে রয়েছে যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মাদারল্যান্ড স্ট্যাচু। যদি পুরো জাদুঘরটি ঘুরে দেখার সময় নাও থাকে, এর চারপাশ অন্তত একবার ঘুরে দেখবেন, সারা জীবন মনে থাকবে এর সৌন্দর্যের কথা।
৩. অপেরা হাউস
কিয়েভ অপেরা স্থাপন করা হয়েছিল ১৮৬৭ সালে, আজ থেকে ১৪৮ বছর আগে। ইউক্রেনের তৃতীয় সবচেয়ে পুরোনো অপেরা এটি। যাঁরা অপেরা হাউসটি দেখেছেন, তাঁদের অনেকের মতেই এই হাউসে অপেরা দেখার চেয়ে হাউসটির নির্মাণশৈলী অনেক বেশি আকর্ষণীয়। অপেরা হাউসের প্রবেশপথেই রয়েছে বিখ্যাত ইউক্রেনীয় লেখক এবং কবি তারাস শেভচেংকোর একটি বিশাল মূর্তি।
৪. এম এম গ্রিশকো কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন
১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটি। ১৩ হাজারেরও বেশি প্রজাতির গাছ রয়েছে এই বাগানে। গাছপালা এবং ফুলের মধ্যে একদিন কাটিয়ে দেখতে পারেন, সতেজ নিশ্বাসে।
৫. সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রাল
কিয়েভের অন্যতম সেরা স্থাপত্য এই গির্জা। পূর্ব ইউরোপের মধ্যেও সবচেয়ে পুরোনো স্থাপনা এটি। এর বিশালতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাতেও রয়েছে এর নাম।