ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি
মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজোয়
শতবর্ষের দোরগোড়ায় ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো। এবার ৯৯ বছরে পা। শুরুটা হয়েছিল ১৯২৫ সালে, তারপর থেকে সেই একই ধাঁচে মল্লিক বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে।দেবী বরণে জমজমাট ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি। পরিবারের সকলের সঙ্গে খুশির মেজাজে রঞ্জিত মল্লিক।
বিজয়া দশমীতে বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসের পথে যাত্রা করবেন মা দুর্গা। তাই আনন্দের মাঝেও মন খারাপ অভিনেত্রী কোয়েল ও বাবা রঞ্জিত মল্লিকের।
বিসর্জনের পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। বেলা গড়াতেই প্রথা মেনে মল্লিক বাড়িতে শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। একে একে দালানে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। দেবী বরণে জমজমাট ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি।
বাড়ির পুজো নিয়ে অকপট স্মৃতিচারণ করলেন রঞ্জিত মল্লিক। ভারতীয় গণমাধ্যমকে রঞ্জিত মল্লিক জানান, মল্লিক বাড়িতে পুজো হয় একেবারে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মেনে। সময় মেনে পুজোর প্রতিটি উপাচার করা হয়। তাই বিসর্জনও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই হয়। এ বাড়ির প্রতিমা গাড়িতে চেপে নিরঞ্জনে যায় না। বাড়ির ছেলেরাই কাঁধে করে নিয়ে যান দেবীপ্রতিমাকে।
এই বাড়ির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে নানা স্মৃতি। আর এই একটা সময়ই বাড়ির সব সদস্যরা পুজোর দালানে একত্রিত হন। তাই বিসর্জনের দিন মনটা খারাপ হয়ে যায়। পরিবারের বাকিদের সঙ্গে আবার কবে দেখা হবে? বছরে এই একটা সময়ই তো সকলের সঙ্গে সকলের সাক্ষাৎ। বিশেষত, বিদেশ থেকে যাঁরা আসেন, তাঁদের সঙ্গে তো দেখা হয়ই না অন্য সময়। তাই বিজয়ার দিন মানেই মনের কোণে বিষাদের মেঘ, জানালেন রঞ্জিত মল্লিক।
রঞ্জিত মল্লিক আরও জানান, বিসর্জন করে ফিরে এসে সবাইকে দেওয়া হয় শান্তির জল। আর এটা সকলেই নিতে চান।