অবশেষে ইউক্রেনের বন্দর ছাড়ল প্রথম শস্যবাহী জাহাজ
বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় মস্কো-কিয়েভ চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্যবাহী প্রথম জাহাজ ইউক্রেনীয় ওদেসা বন্দর ছেড়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধের কারণে গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে বন্ধ থাকা শস্য রপ্তানি সোমবার থেকে পুনরায় শুরু করল ইউক্রেন।
তুরস্ক ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসা বন্দর ছেড়েছে শস্যবাহী প্রথম জাহাজ। খবর বিবিসির।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম দুই প্রধান খাদ্য ও জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে চলে আসা যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বৈশ্বিক এ সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই কিয়েভ ও মস্কোর কর্মকর্তারা ইউক্রেনে আটকা আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা বিশ্ববাজারে সরবরাহের লক্ষ্যে তুরস্কে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী—ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট এবং বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শস্যবাহী জাহাজটি ইউক্রেন ছাড়ার আগে তুরস্কের এক বিবৃতিতে বলা হয়—সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি লেবাননে নোঙর করবে। আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও চালানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির কাজ তদারকির জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র (জেসিসি) চালু করা হয়েছে। জেসিসি বলেছে, জাহাজটি প্রায় ২৬ হাজার টন ভুট্টা পরিবহণ করছে এবং ২ আগস্ট সেটি তুরস্কের জলসীমায় পৌঁছাবে।
ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী আলেকজান্ডার কুব্রাকভ ফেসবুকে লিখেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে ওদেসা অঞ্চলের বন্দরগুলো থেকে আরও অন্তত ১৬টি জাহাজ ইউক্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও তুরস্ক।