অস্ত্রবিরতির পরও ট্রিগারে আঙুল থাকবে, হামাসের হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই জেরুসালেমে তাদের আইন লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় শুক্রবার ভোর থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে হবে।
একই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এজ্জাত এল-রেশিক বলেন, ‘এটা সত্য আজ লড়াই বন্ধ হচ্ছে, কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং পুরো বিশ্বের জানা দরকার, এখনও আমাদের হাত অস্ত্রে রেখেছি (প্রয়োজনে প্রস্তুত থাকা অর্থে)।’
কাতারের দোহায় রয়টার্সকে এজ্জাত এল-রেশিক বলেন, জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ রক্ষা হামাসের দাবির মধ্যে রয়েছে।
এ ছাড়া পূর্ব জেরুসালেমের ফিলিস্তিনিদের তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ ঠেকানোর কথাও বলেন হামাস নেতা।
সাম্প্রতিক হামলায় ব্যবহৃত রকেটকে ‘সোর্ড অব জেরুজালেম’ নামকরণ করেছিল হামাস। এজ্জাত এল-রেশিক বলেন, ‘এবার হামলায় যা হয়েছে আগে কখনও এমনটি দেখা যায়নি। ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে এবং তারা নিশ্চিত ছিল এই লড়াইয়ে তাদের ভূমি ও পবিত্র স্থানগুলোকে মুক্ত করা হবে।’
এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৬৫টি শিশু রয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, গাজায় নিহতদের মধ্যে অন্তত দেড়শ সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুল মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর দুদিন পর শবে কদরেও আল-আকাসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।