অস্ত্রোপচারের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিম জং উন!
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক; একটি অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ওই খবরে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণেই কিম গত বুধবার তাঁর দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তারপর থেকেই কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সপ্তাহখানেক আগে একটি সরকারি বৈঠকে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল।
তবে কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে সিএএনের দেওয়া এই খবর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার শারীরিক অবস্থা জানাটা সহজ ব্যাপার নয়। কারণ সরকারি সংবাদমাধ্যম ছাড়া কোনো রকম তথ্য উত্তর কোরিয়া দেয় না।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং হলেন কিম জং উনের দাদা। গত বুধবার তাঁর জন্মদিন ছিল। উত্তর কোরিয়ার কাছে ওই দিনটি বিশেষ ছুটির দিন। গোটা দেশেই উৎসব পালিত হয়। কিমকে সেখানেও দেখা যায়নি।
৩৬ বছর বয়সী কিম অত্যধিক ধূমপান করেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মুটিয়ে যাওয়া ও কাজের প্রচণ্ড চাপ থেকেই তাঁর শরীর খারাপ হল কি না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়ায়, কিমকে নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহজনক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কিম জং উনের ‘গুরুতর অসুস্থতার’ খবর একরকম উড়িয়েই দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি এনকের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিমের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারের গোপনীয়তার কারণে কিমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
২০০৮ সালে উত্তর কোরিয়ার ৬০তম জন্মদিনে একইভাবে কিম জং ইল (কিম জং উনের বাবা) অনুপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে জানা যায়, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন।