আইএস-খোরাসানের বিরুদ্ধে তালেবানের অভিযান শুরু, গ্রেপ্তার ৮০
আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে জনগণকে আশ্বস্ত করে আসছে তালেবান। তারা বলেছে, আফগানিস্তান এখন থেকে যেকোনো ‘যুদ্ধ থেকে নিরাপদ ও মুক্ত’। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার (আইএসকেপি) ধারাবাহিক হামলায় তাদের এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে।
তবে এরই মধ্যে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তালেবান কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এমনকি আইএসের প্রতি অনুগত যেকোনো শক্তিকে নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তারা। আইএসকেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নানগর থেকে গ্রুপটির ৮০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তালেবান দাবি করেছে, আইএসকেপির সাবেক নেতা জিয়াউল হককেও তারা হত্যা করেছে।
তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদের খুঁজে বের করে দমন করা হবে। খবর আল জাজিরার।
তালেবান ক্ষমতায় আসার ছয় সপ্তাহের মধ্যে আইএসকেপি কাবুল, জালালাবাদ এবং মাজার-ই-শরিফে হামলা চালায় এবং তারা এখন এসব এলাকায় আগের থেকে বেশি সক্রিয়।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করে তারা। ওই হামলায় ১৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল।
এ ছাড়াও দেশটির নানগর প্রদেশ এবং জালালাবাদ শহরে অনেকগুলো পৃথক হামলা চালিয়েছে আইএসকেপি। তাদের সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে সাধারণ নাগরিকসহ তালেবান সদস্যদেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টেলিগ্রাম মেসেজে আইসকেপি দাবি করেছে, জালালাবাদের হামলায় কমপক্ষে ৩৫ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যদিও তালেবান তা অস্বীকার করেছে।