আজভস্টালে পাওয়া ১৫২ ইউক্রেনীয় সৈন্যের মরদেহ হস্তান্তর করবে রাশিয়া
প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার করা ১৫২ ইউক্রেনীয় সৈন্যের মরদেহ হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে—আজভস্টাল স্টিল কারখানা থেকে উদ্ধার ইউক্রেনীয় সৈন্যদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ সৈন্যরা আজভস্টাল স্টিল কারখানায় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ১৫২ সদস্যের মরদেহ পেয়েছে। কারখানার একটি কুলিং ইউনিটে এসব মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে। মরদেহের নিচে চারটি মাইনও পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সৈন্য ও সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের মরদেহ দেশটির প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
গত এপ্রিলের শেষের দিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মস্কো জানায়, সেখানকার আজভস্টাল স্টিল কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা ভূগর্ভস্থ টানেলে কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকা রয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আজভস্টাল স্টিল কারখানায় শত শত ইউক্রেনীয় সৈন্য মস্কোর সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ইউক্রেনীয় এ সৈন্যদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রুশ সৈন্যদের কাছে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট হয়ে ওঠে মারিউপোল। ইউক্রেনের যেসব অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর সবচেয়ে বেশি সংঘাত হয়েছে, সেসবের মধ্যে আজভ সাগরের তীরবর্তী এ শহরটি ছিল অন্যতম।
মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ফলে আজভ সাগর উপকূলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন মস্কোর হাতে চলে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরেই সেতু তৈরির মাধ্যমে ক্রিমিয়া দ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে চেয়েছিল মস্কো। মারিউপোলের দখল পাওয়ার পর তা এখন বাস্তবায়নে কোনো বাধা নেই। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া।