আফগানিস্তানের অস্তিত্ব ও ঐক্য সত্যিই কি সংকটে?
আফগানিস্তানের অস্তিত্ব ও একতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আফগানিস্তান হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ঝাস। সংবাদমাধ্যম আল-অ্যারাবিয়্যা এ খবর জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে কাউন্সিলের শীর্ষ কমিটি আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে গত বুধবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে সভা করেন সেখানে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সত্যি বলতে গেলে আফগানিস্তানের জনজীবন, নিরাপত্তা ও ঐক্য বিপদগ্রস্ত। শান্তি ছাড়া কোনো পথ নেই।’
প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের ওই সভায় আফগান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বেড়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তালেবান সুবিধা নিচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ফলে কিছু কিছু এলাকায় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।’
আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা যতই কাছাকাছি চলে আসছে, শান্তি আলোচনায় তালেবান খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে। অথচ যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ বাড়াচ্ছে। যদিও দোহায় শান্তি আলোচনায় উভয়পক্ষ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, তবে আমরা কোনো উন্নতি দেখছি না।’
ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন’র চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ঝাস বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে তালেবান শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়ায় মাসের পর মাস সময় নষ্ট করেছে। জনগণের মধ্যে চিন্তার বিষয় ছিল শান্তি আলোচনায় আদৌ তালেবানের ইচ্ছা ছিল কি না‘’ তিনি বলেন, ‘সত্য কথা যে, আফগানিস্তান যুদ্ধ বৃদ্ধির পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করছে।’
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, যেহেতু তালেবান আফগানিস্তানজুড়ে বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কয়েক মাসের মধ্যেই আফগান বেসামরিক সরকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর হাতে পড়তে পারে।
আফগানিস্তানে মার্কিন জেনারেল অস্টিন মিলার সতর্ক করে গত বুধবার বলেছেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে।’
এদিকে আফগানিস্তানে সংঘর্ষ তীব্র হতে থাকায় আরও কয়েক শতাধিক বেসামরিক নাগরিক আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সমর্থনে তালেবানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।