আফগানিস্তানের গজনি নগরী ঘিরে রেখেছে তালেবান যোদ্ধারা
আফগানিস্তানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গজনি নগরী ঘিরে রেখেছে তালেবান যোদ্ধারা। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে তালেবানরা সেখানকার মানুষজনের বাড়িঘরে অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ায় তালেবানের একের পর এক নগরী এবং অঞ্চল দখলে নেওয়ার মধ্যে প্রাদেশিক রাজধানী গজনি অভিযানই হতে যাচ্ছে সর্বসাম্প্রতিক।
গজনি প্রদেশের কাউন্সিল সদস্য হাসান রেজাই বলেন, ‘গজনি নগরীর পরিস্থিতি খুবই জটিল… তালেবানরা সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে আস্তানা গেড়েছে এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর (এএনডিএসএফ) ওপর গুলি ছুড়ছে। এ কারণে তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো এএনডিএসএফের জন্য খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধাবসানের ঘোষণা দিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দেশটিতে তালেবানের সহিংসতা বেড়েছে।
আফগানিস্তান থেকে এরই মধ্যে চলে গেছে বেশির ভাগ বিদেশি সেনা। দীর্ঘ যুদ্ধের প্রতীকী অবসান হিসেবে আজ সোমবার আফগানিস্তান মিশনের নেতৃস্থানীয় মার্কিন সামরিক কমান্ডার অস্টিন মিলারও পদত্যাগ করছেন।
আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা কাতারের রাজধানী দোহায় চললেও কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না।
বরং দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কান্দাহারে উল্টো দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ছে। ওই এলাকায় তালেবানের আধিপত্য শুরু থেকেই আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আর কাবুল এবং কান্দাহার নগরীর মধ্যকার মূল রাস্তাটাই হচ্ছে গজনির।
কান্দাহারে সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়ে যাওয়া সাবেক আফগান পার্লামেন্ট সদস্য হামিদজাই লালে বলেন, ‘চারদিন ধরে তালেবান যোদ্ধারা পশ্চিম দিক থেকে কান্দাহার নগরীতে হামলা করছে। বিশেষ বাহিনীসহ আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তালেবানের সঙ্গে লড়ছে এবং তাদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
তালেবান যোদ্ধারা এখন পর্যন্ত প্রাদেশিক রাজধানীগুলোর দখল নিতে না পারলেও তারা দেশজুড়ে হামলা চালিয়ে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে এর বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার জন্য চাপের মুখে রেখেছে।