আফগানিস্তানের ৫ প্রদেশে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুল খুলে দিয়েছে তালেবান
আফগানিস্তানের পাঁচটি প্রদেশে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে তালেবান সরকার। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে তালেবান সরকার একটি ‘কাঠামো’ ঠিক করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হলে সব আফগান মেয়েশিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারবে। তালেবানের শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা—ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক ওমর আবদি গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বলেন, তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন—আফগানিস্তানের পাঁচটি প্রদেশের মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে তালেবান সরকার। এই পাঁচ প্রদেশ হচ্ছে—উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালখ, জুজজান ও সামানগান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উরুজগান।
তালেবান সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। যেসব গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না, সেগুলোর অন্যতম হচ্ছে—মেয়েদের লেখাপড়া করার অনুমতি না দেওয়া।
ইউনিসেফের উপ-প্রধান ওমর আবদি গত সপ্তাহে কাবুল সফর শেষ করে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পৌঁছে সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের মোট ৩৪ প্রদেশের মধ্যে পাঁচটির গার্লস স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে তালেবান।
ওমর আবদি বলেন, তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়েরা যাতে স্কুলে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে তালেবান সরকার একটি ‘গঠনকাঠামো’ ঠিক করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হলে সব আফগান ছাত্রী স্কুলে যেতে পারবে ।
ইউনিসেফ উপ-প্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য সম্পর্কে তালেবানের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, এর আগে তালেবান বলেছিল—ইসলামি শরিয়া বহাল রেখে মেয়েরা কীভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে আইন তৈরির কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রাথমিকের মেয়েশিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তালেবান সরকার।