আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ধ্বংসে দায়ী গোষ্ঠীগত সংঘাত : তালেবান
সম্প্রতি স্থানীয় পশতুন তালেবান নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এর পরেই তালেবান বলছে—দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গোষ্ঠীগত সংঘাতই দেশটিতে গণতন্ত্রের ধ্বংসের কারণ। বার্তা সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
খামা প্রেস জানিয়েছে, আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশ থেকে সম্প্রতি আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উজবেকিস্তান জাতিগোষ্ঠীর পশতুন তালেবান কমান্ডার মাখদুম আলমকে গ্রেপ্তার করে। গত বৃহস্পতিবার এর প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলীয় ফারিয়াব প্রদেশের রাজধানী মাইমানায় কয়েকশ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। মাখদুম আলমকে গতকাল রোববার কাবুলে আনা হয়।
তালেবান সরকারের অন্যতম মুখপাত্র বিলাল করিমি বলেছেন, মাখদুম আলমের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে জাতিগত বৈষম্যের কারণ হিসেবে তালেবানকে দায়ী করছে বিক্ষোভকারীরা।
অন্যদিকে, আফগানিস্তান তালেবানের মুখপাত্র এনামুল্লাহ সামানগণি টুইটারে বলেছেন, আফগানিস্তানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংঘাত বৃদ্ধিই দেশটিতে গণতন্ত্র পতনের বড় কারণ। তিনি জানান, অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকায় মাখদুম আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনামুল্লাহ বলেন, আফগানিস্তানে গণতন্ত্র এখন মৃত। ‘গণতন্ত্রের মৃত্যুর পর গণতন্ত্রপন্থিদের বিদ্রোহের কারণে আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারণ হিসেবে গণতন্ত্রপন্থিদের দায়ী করেছেন তিনি।
তালেবানের মধ্যে বিপুল পশতুন তালেবান রয়েছে। ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ পশতুন তালেবানের হুমকি পাচ্ছে অন্যান্য তালেবান গোষ্ঠীগুলো।
১৯৯০-এর মাঝামাঝিতে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পরও একই সমস্যা হয়েছিল। তখন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়েছিল।