আফগানিস্তানে দেড় শতাধিক গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ
আফগানিস্তানের ২০টি প্রদেশে ১৫৩টি গণমাধ্যম তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া গণমাধ্যমগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি বিধিনিষেধের কারণে এসব গণমাধ্যমের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে রেডিও, খবরের কাগজ ও টেলিভিশন চ্যানেল।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, আর্থিক সংকটের সমাধান না হলে এবং তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে না নেওয়া হলে আফগানিস্তানের আরও অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম বন্ধ করতে হতে পারে।
আফগানিস্তান ফেডারেশন অব জার্নালিস্টসের উপপ্রধান হুজাতুল্লাহ মুজাদাদির বক্তব্য উদ্ধৃত করে টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যম সমর্থনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি গণমাধ্যমের প্রতি মনোযোগ না দেয়, তাহলে শিগগিরই দেশের বাদবাকি গণমাধ্যমগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।’
আফগানিস্তান ন্যাশনাল জার্নালিস্টস’ ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাসরুর লুতফি টুলো নিউজকে বলেছেন, ‘এ ঘটনার (গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে যাওয়া) ধারাবাহিকতায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মানবিক ও নাগরিক স্বাধীনতার ইতি ঘটবে।’
আফগানিস্তানে মুক্ত গণমাধ্যমের সমর্থনকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ। এ অবস্থায় বিধিনিষেধের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা আফগানিস্তানের গণমাধ্যমগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য তালেবান জানিয়েছে, তারা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাজ করার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করবে।
গত সপ্তাহে তালেবান দৈনিক সংবাদপত্র এতিলাতরোজের ভিডিও সম্পাদক এবং ভিডিও রিপোর্টার তাকি দারিয়াবি ও নেমাতুল্লাহ নাকদিকে আটক করে। কাবুলে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে সংবাদ করায় তাঁদের আটক করা হয়।