আফগানিস্তানে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করল তালেবান
আফগানিস্তানে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে মন্ত্রিসভার আকার বাড়িয়েছে তালেবান। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতে উপ-মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রণক্ষেত্রের প্রবীণ দুই কমান্ডারকে গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়েছে। তবে এবারও কোনও নারীকে মন্ত্রিসভায় রাখেনি তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হয়েছে মোল্লা আব্দুল কাইয়ুম জাকির এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়েছে সদর ইব্রাহিমকে।
পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুরের অনুগত যুদ্ধক্ষেত্রের কমান্ডারদের মধ্যে এই দুজন রয়েছেন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে জাতিসংঘের নানা প্রতিবেদনে।
প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী জাকির এবং স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইব্রাহিম দুইজনেই এত প্রভাবশালী এবং স্বতন্ত্র যে কয়েকটি গ্রুপের আনুগত্য নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে উদ্বিগ্ন খোদ তালেবান নেতারাও।
জাকির ছিলেন কিউবার কুখ্যাত মার্কিন কারাগার গুয়ানতানামো বে’র বন্দি। তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের সময় তিনি ধরা পড়ে গুয়ানতানামোতে বন্দি হয়েছিলেন।
পরে জাকিরকে মুক্তি দিয়ে আফগান সরকারের হাতে হস্তান্তর করা হয়। নতুন তালেবান সরকারে তিনিই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হবেন বলে ব্যাপকভাবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে তা হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব।
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির উপমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া সদর ইব্রাহিমের পরিবারের আগমন পাকিস্তান সংলগ্ন পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা থেকে।
মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন সংখ্যালঘু ও জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদেরও স্থান দেওয়া হয়েছে বলে তালেবান জানিয়েছে।
তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিগত সংখ্যালঘু হাজারার প্রতিনিধিদের নেওয়া হয়েছে। নারী প্রতিনিধিদের হয়ত পরে নেওয়া হতে পারে। তবে তা কখন সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।