আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর আশাবাদ উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের
আফগানিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফেরানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ‘সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে উজবেকিস্তানের পাশপাশি আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের দায়িত্ব পালন করছেন।
তালেবানের কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকেরা কেমন আছেন, এবং তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে গতকাল রাতে রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
আফগানিস্তানে এখন কত জন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন এবং তাঁদের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশি (আছেন) ২৬ জন। তাঁরা ভালো আছেন এবং নিরাপদে আছেন।’
আফগানিস্তানের অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে দূতাবাসের যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তাবলিগ জামাতে ছয় জন আছেন। তাঁরা আছেন জালালাবাদ শহরে। তাঁরা আমাদের মেসেজ দিয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘আমরা যে দুটো কাজ দূতাবাস থেকে করেছি, তা হলো—আফগানিস্তানের কাবুলসহ বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশিরা যে যেখানে আছেন, তাঁরা যেন আমাদের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন, সেজন্য আমরা দুটি হট লাইন চালু করেছি।’
‘আমি উজবেকিস্তানে আফগানিস্তানের যে ফরেন সেক্রেটারি (পররাষ্ট্র সচিব) আছেন, তাঁর মাধ্যমে... যদিও আপনি জানেন যে, প্রপার রাজনৈতিক সরকার ওখানে নেই, তারপরও আমি যাঁরা পূর্বপরিচিত, তাঁদের মাধ্যমে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের বাংলাদেশিদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। আর, একই সঙ্গে আমাদের যে হটলাইনগুলো আছে, সেগুলোর খবর তাঁরা যেন তাঁদের চ্যানেলে পৌঁছে দেন। যার ফলে আমরা একটা সুবিধা পেয়েছি। আফগানিস্তানের নানা জায়গা থেকে আমরা সাড়া পাচ্ছি এবং তাঁরা আমাদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন’, যোগ করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তবে রাষ্ট্রদূত মো জাহাঙ্গীর আলম এও বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি সবাই খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। কিন্তু, যে যেখানে আছেন, নিরাপদে আছেন। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে একটা অস্বাভাবিক আতঙ্ক কাজ করছে। তাঁরা মনে করছেন—যেকোনো সময় তালেবান এসে আগের রূপ ধারণ করে তাঁদের ক্ষতি করতে পারে কিংবা হয়তো অকস্মাৎ তাঁরা বিপদে পড়তে পারেন।’
“ব্র্যাকের যে ছয় জন আছেন, তাঁরা একটা রেস্ট হাউসে আছেন, নিরাপদে আছেন। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। আবার ওখানে একটা টেলিকম কোম্পানি আছে, সেখানে সাত জন কাজ করছেন। তাঁরাও নিরাপদে আছেন। দুজন কাজ করেন ডিপ্লোম্যাটিক ক্যারিয়ার—কাবুলের ওয়াজির আকবর খানের ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সেনিটেশন অ্যান্ড সুয়ারেজে। তাঁরা বলছেন—এত বেশি সুনসান নীরবতা তাঁদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে যেতে চাই, আমাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’”
রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘মাজার-ই-শরিফে এক জন আছেন। তিনি অর্থ কষ্টে ভুগছেন। কাবুল থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে মাজার-ই-শরিফ, উজবেকিস্তানের সীমান্তের কাছাকাছি। আরেক জন আছেন, যিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তালেবান কাবুলে ঢোকার পরপরই কেন্দ্রীয় কারাগার খুলে দেয়। যার ফলে আমাদের একজন বাংলাদেশি বেরিয়ে আসেন। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, কিন্তু তিনি অর্থকষ্টে ভুগছেন। তিনি হয়তো অত আতঙ্কগ্রস্ত নন, কিন্তু অর্থকষ্টে ভুগছেন। আমরা অন্যদের সাহায্যে দূতাবাস থেকে চেষ্টা করেছি তাঁদের অর্থকষ্ট লাঘব করার জন্য।’
‘অনেকেই আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করছেন। আমি আজও জানতে পেরেছি যে, বাংলাদেশিদের এক জনের ভিসার মেয়াদ নেই। এখন আফগানিস্তানে যেহেতু কোনো রাজনৈতিক সরকার নেই এবং তাদের যে নরমাল অফিসিয়াল কার্যক্রম, সেটা তেমনভাবে হচ্ছে না এবং হয়তো বন্ধ হয়ে আছে, সেজন্য আমার কাছে রাষ্ট্রদূতের স্বাক্ষরিত একটা চিঠি তিনি চাচ্ছেন এবং তাঁর সঙ্গে মনে হয় আরও কয়েক জন থাকতে পারে।’
“আরও কয়েক জন আছেন, যাঁদের পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেছে। তাঁরা একটু ভয়ের মধ্যে আছেন... ‘আমরা কোথায় যাব? কীভাবে কী করব?’ আমি তাঁদের আশ্বস্ত করেছি যে, এখানে ভয়ভীতির কোনো কারণ নেই। আমি প্রয়োজনে তাঁদের ট্রাভেল পাস ইস্যু করব। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক, আপনাদের বৈধতা আছে। বৈধ নাগরিককে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বতোভাবে চেষ্টা করবে। যদি কোনো তালেবান সংশ্লিষ্টতা না থাকে, অন্য কোনো অসৎ বা অন্য কোনো বিপথগামিতার যদি প্রমাণ না থাকে এবং যদি ভ্যালিড ডকুমেন্টস থাকে, তাহলে আপনাদের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনারা বাংলাদেশে যেতে পারবেন। এটা আমি তাঁদের নিশ্চিত করেছি।”
রাষ্ট্রদূত মো জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমাদের দুজন বাংলাদেশি আছেন, যাঁরা একটি জার্মান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিতে কাজ করেন। জার্মানি স্পেশাল ফ্লাইট পাঠাচ্ছে তাদের কর্মচারি এবং জার্মান নাগরিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে উজবেকিস্তান সরকারের একটা সমঝোতা হয়েছে যে, তারা উজবেকিস্তানের তাসখন্দ এয়ারপোর্টকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে। আমাদের ওই দুজন বাংলাদেশি সুযোগটি গ্রহণ করছেন, যেহেতু তাঁরা ওই কোম্পানিতে চাকরি করেন। ওখান থেকে তাঁরা আমাদের অনুরোধ করেছেন যাতে তাঁরা আসতে পারেন। তাঁদের কী প্রয়োজন? প্রয়োজনটা হলো যে, এখানে যেন তাঁদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। এদিকে আফগানিস্তান সীমান্ত সিল করা এবং যেকোনো পথে আসলে ভিসা পাওয়ার কথা নয়। এজন্য আমি এখানে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি এবং তাঁকে বোঝাই যে, আমার বাংলাদেশি মানুষেরা ট্রানজিট হিসেবে তাসখন্দ এয়ারপোর্ট ব্যবহার করবে এবং তাঁরা চলে যাবে। তারা আমার কথায় কনভিন্সড হয়ে রাজি হয়েছে এবং বলেছে, ‘ঠিক আছে আমরা আপনার কথায় ভিসা দিয়ে দিচ্ছি, একটা আবেদন পাঠান এবং সঙ্গে আপনার আইডি কার্ডের ফটোকপি দেবেন, যাতে আমরা গ্যারান্টিটা পাই।’ যদিও বিষয়টি কিছুটা হলেও আমার জন্য বিব্রতকর ছিল, তারপরও আমি সেটি দিয়েই আমার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে ফেলেছি। এবং একই সঙ্গে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে—‘বাংলাদেশিরা যদি যেকোনোভাবে উজবেকিস্তানে পৌঁছাতে পারে, তাহলে আমরা তাদের ভিসা দেব।’ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি বাংলাদেশিদের আশ্বস্ত করেছি, আপনারা কোনোভাবেই আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না।’
‘আর কিছু বিষয় আছে যেমন—কিছু কিছু বাংলাদেশি আছেন, যাঁরা আর্থিক বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। বাংলাদেশে যেতে চান, কিন্তু ভাবছেন, কীভাবে টিকেট পাবেন? আমরা বলে দিয়েছি, আপনারা আগে যেকোনোভাবে উজবেকিস্তানে চলে আসুন। যদি তাঁরা আসেন, আমরা কীভাবে টিকেট পেতে হবে সে পন্থা বের করে দেব। ওটা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। আপনারা শুধু নিরাপদে থাকুন, যে যেখানে থাকবেন, সেখানে শুধু আপনাদের নিজেদের নিরাপত্তাটা নিশ্চিত করুন। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনারা আমাদের জানাবেন, আমাদের দূতাবাস থেকে আমরা সর্বোত্তম চেষ্টা করব। আমরা ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করছি, ঢাকাকে সবকিছু জানাচ্ছি এবং আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবহিত আছে। যার ফলে আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নাই। তাঁরা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত বোধ করছেন এবং তাঁরা আমাদের যে হটলাইন আছে, তার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন এবং আমার বিশ্বাস যে, হয়তো তাঁদের আমরা ভালোভাবেই বাংলাদেশে পাঠাতে পারব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে।’
এখনও যে বাংলাদেশিরা আফগানিস্তানে আছেন, তাঁরা কেউ সপরিবারে আছেন কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি কয়েক জনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। এর মধ্যে হাই স্কিল এক্সপার্ট হিসেবে অনেকে আছেন। তাঁরা আমাকে বলেছেন, আফগানিস্তানের দেড়-দুই বছর ধরে যে পরিস্থিতি, তাতে তাঁরা পরিবার নিয়ে রাখেন না। যার ফলে যে কয়জন এখানে আছেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে বলছি, পরিবারের কোনো সদস্য তাদের সঙ্গে নেই। তারা এককভাবেই আছেন।’
তালেবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর এই কদিনে কোনো বাংলাদেশি আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরতে পেরেছেন কি না, জানতে চাইলে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার কাছে যে তথ্য আছে, সেটা হলো—মাত্র তিন জন বাংলাদেশি, ব্র্যাকের তিন জন, গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হতে পেরেছেন। আর, অন্য দুই জন, যাঁরা জার্মান কোম্পানিতে কাজ করছিলেন, তাঁদের ভিসা এখন প্রস্তুত আছে। তাঁদের ফ্লাইট হয়তো আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় যদি না আসে, আমার মনে হচ্ছে—আগামীকালের (আজ) মধ্যে চলে আসবে। তাঁরা উজবেকিস্তানে চলে এলে হয়তো, এখান থেকে চলে যেতে পারবেন।’
আফগানিস্তান থেকে বাকীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, এবং তাঁরা কবে নাগাদ বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন বলে মনে করছেন, জানতে চাইলে মো জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখন হামিদ কারজাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে কমার্শিয়াল ফ্লাইট স্থগিত হয়ে আছে। এ কারণে এখন কোনো কমার্শিয়াল ফ্লাইট যাতায়াত করছে না। এবং আমার মনে হচ্ছে—এই ইভ্যাকুয়েশন (মানুষকে সরিয়ে নেওয়া) যদি সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে আবার কমার্শিয়াল ফ্লাইট চালু হয়ে যাবে। তখন আমাদের বাংলাদেশিরা চলে যেতে পারবেন।’
‘তারপরও আমি তাঁদের (বাংলাদেশিদের) বলেছি, যদি কোনো দেশের বিশেষ ফ্লাইট আসে, যদি সেখানে তাদের কোনো সুযোগ থাকে বা তাঁরা যদি তা আমাদের অর্থাৎ দূতাবাসকে জানাতে পারেন যে, এই ফ্লাইটে সুযোগ আছে, তাহলে আমি সেই দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমি সেটা তাঁদের আশ্বস্ত করেছি।’
‘আমাদের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় যোগাযোগ করেছি আমরা। এখন অন্য দেশেরও যদি কোনো স্পেশাল ফ্লাইট আসে, তাহলে আমরাও দূতাবাস থেকে চেষ্টা করছি তাঁদের জানিয়ে দিতে, তারা যেন ওই ফ্লাইটে যেতে পারেন। এবং তাঁদেরও বলা হয়েছে যে, যদি আপনাদের কাছে মনে হয়, এই ফ্লাইট আপনাদের নিতে পারে, আপনার কোনো সহকর্মীকে নিচ্ছে, সে দিক থেকেও আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। এখানেও আমরা চেষ্টা করছি। এ সব বিবেচনা করে আমার বিশ্বাস—আমরা বাংলাদেশিদের সরিয়ে নিতে পারব, বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে পারব।’
উজবেকিস্তান আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী একটি দেশ। প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখন কেমন বলে মনে করছেন, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে যে খবর পাচ্ছি, তারা আমাদের বলছে যে—তালেবান উদাত্তভাবে আহ্বান জানাচ্ছে, ‘আপনারা যে যেখানে আছেন, যেখানে যেভাবে কাজ করেন, তা চালিয়ে যান। আতঙ্কের বা ভয়-ভীতির কোনো কারণ নেই।’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি আমার দেশের মানুষকে যাতে ভালো রাখা যায় সর্বোত্তম উপায়ে, এজন্য বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। মানবাধিকার কর্মী বা ওখানে নারী কর্মী যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছ থেকেও আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সেখান থেকে আমাদের কাছে নেতিবাচক কিছু খবর আসছে। তালেবান আহ্বান করছে, কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় তালেবান মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমন খবর আমাদের কাছে আসছে। যার ফলে, ওই বিষয়টি আমলে নিয়েই আমার কাছে মনে হচ্ছে—বাংলাদেশিরা যে ভয়ের মধ্যে আছেন, তা অযৌক্তিক বা অমূলক নয়। যদিও তালেবান বলছে, ‘আমরা আগের চেয়ে আলাদা’, কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে যেন একটু ভিন্ন পরিস্থিতি সেখানে আছে। আরও কয়েকটা দিন গেলে আমরা হয়তো বলতে পারব যে, আসলে প্রকৃতপক্ষে কী হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের প্রবাহ এখন বন্ধ হয়ে আছে। যদি তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তাহলে আমরা আমাদের মানুষদের আশ্বস্ত করতে পারব। এবং সে বিবেচনায় আমার দেশের মানুষগুলোকে দ্রুততার সঙ্গে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা আরও বেশি কাজ করতে পারব।