আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর ঘোষণা ন্যাটোর
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ন্যাটো জোটও ঘোষণা দিল তারা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ মার্কিন সেনা কাবুল থেকে দেশে ফিরবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটোও। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে থাকার পর ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ মার্কিন সেনা দেশে ফিরবে। সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ মে থেকে। এরপর ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়ে দেন, ন্যাটোর দেশগুলোও ১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা সরিয়ে নেবে।
তবে ন্যাটো জানিয়েছে, সেনা প্রত্যাহার করার সময় তালেবান যদি আক্রমণ করে, তবে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
ন্যাটো আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানকে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
এদিকে ন্যাটোকে ধন্যবাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা কখনোই ন্যাটোর দেশগুলোর এই সহযোগিতা ও পাশে থাকার কথা ভুলবে না।
বাইডেন-মেরকেল ফোনালাপ
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মানির চ্যান্সেলর মেরকেলের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তাঁরা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলেন। বাইডেন ও মেরকেল খোলাখুলি তাঁদের মত জানিয়েছেন।
জার্মানির সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই নেতা সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাইডেন যা বললেন
জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।
ডয়চে ভেলের ওয়াশিংটন ব্যুরো চিফের মতে, এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে জো বাইডেনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। বিশ বছর ধরে আফগানিস্তানে লড়াই চলছে।
সমালোচনা করেছে রাশিয়া
রাশিয়া অবশ্য জো বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, বাইডেনের উচিত ছিল চুক্তি মেনে চলা এবং ১ মের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া। কিন্তু, বাইডেন তা করেননি বলে রাশিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাঁরা মার্কিন সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার চোখে দেখছেন। ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে আফগানিস্তান।