আফিম উৎপাদন নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে তালেবান
আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এমন উদ্যোগে আফগানিস্তানজুড়ে কাঁচা আফিমের দাম বেড়ে গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে পুরো দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টার মধ্যেই আফিম উৎপাদন বন্ধের উদ্যোগ নিল তালেবান।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, এরই মধ্যে তালেবান নেতারা আফিম চাষিদের ‘ওপিয়াম পপি’ চাষ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আফগানিস্তানের যেসব এলাকায় অনেক বেশি পপি চাষ হয়, সেসব এলাকার বাসিন্দারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে গ্রামাঞ্চলের জনসমাবেশে তালেবান প্রতিনিধিরা বলা শুরু করেছেন যে, এখন থেকে পপি চাষ নিষিদ্ধ হবে। আফগানিস্তানের যেসব এলাকায় পপি চাষ বেশি হয়, কান্দাহার তার অন্যতম। স্থানীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পপি চাষ।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবানমুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, সে দেশের নতুন শাসকেরা মাদক ব্যবসার অনুমতি দেবেন না। তবে, কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি।
কান্দাহার, উরুজগান ও হেলমান্দ প্রদেশের চাষিরা জানিয়েছেন, সেসব এলাকায় কাঁচা আফিমের দাম তিনগুণ হয়ে গেছে। তালেবান যোদ্ধারা পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে প্রতি কেজি কাঁচা আফিম বিক্রি হতো ৭০ ডলারে। বর্তমানে দাম বেড়ে তা ২০০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় মাজার-ই শরীফ শহরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। কাঁচা আফিমকে প্রক্রিয়াজাত করে হেরোইন তৈরি করা হয়।
পশ্চিমা সরকারগুলো বলছে, আফগানিস্তানে মাদক খাত থেকে দীর্ঘদিন ধরে তালেবান সুবিধা নিয়েছে। গত ২০ বছরে তালেবানের অর্থের বড় উৎস ছিল এই মাদক ব্যবসা। আফগানিস্তান বিশ্বের শতকরা ৮০ ভাগ অবৈধ আফিম রপ্তানিকারী দেশ।