আমরা হেরে গেছি, পুরো দেশ হেরে গেছে : হতাশ শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। বুধবার তাঁর নির্বাচনে দেশটির বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে। অথচ গত সপ্তাহে বিক্ষোভস্থলে তাঁরা সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের দেশত্যাগ ও পদত্যাগের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার সকালে কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী। এই মাসের শুরুতে বিক্ষোভকারীরা যেসব সরকারি ভবন দখল করেছিল, এই ভবন সেগুলোর একটি।
কিন্তু, দুপুরের কিছুক্ষণ পর পার্লামেন্টে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এখন বিক্ষোভ দমনের প্রস্তুতি নিতে পারেন বলে তাঁদের আশঙ্কা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাক্টিভিস্ট নুজলি হামিম বলেন, ‘আমরা হতাশ, কিন্তু অবাক নই। আমরা রাজনীতিকদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করি। তাঁদের উচিত এখন নিজেদের কৌশল যাচাই করা। কারণ, অনেকেই হতাশ।’
শ্রীলঙ্কার একজন পরিচিত অভিনেত্রী দামিথা আবেয়ারত্নে বলেন, ‘আমরা হেরে গেছি। সারা দেশ হেরে গেছে।’
গত সপ্তাহে গোটাবায়া দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পদত্যাগ করলে বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। ছয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বিক্রমাসিংহকে বিক্ষোভকারীরা রাজপাকসের পরিবারের প্রতি অনুগত হিসেবে মনে করেন।
আবেয়ারত্নে বলেন, রাজনীতিকরা তাদের ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে, তারা জনগণের জন্য লড়াই করছে না। দুর্ভোগে থাকা মানুষদের জন্য তাদের কোনও অনুভূতি নেই।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন ক্যাথলিক যাজক ফাদার জীবন্ত পেইরিস বলেন, ‘আমরা একটি সংকটের ভুক্তভোগী, যা রাজাপাকসের শাসনে তৈরি হয়েছে। এই শাসন ব্যবস্থার অংশ বিক্রমাসিংহে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের আন্দোলন হিসেবে আমরা রনিলের বিরুদ্ধে। আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো, আমরা থামবো না।’