‘ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্রে’ রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে—তাদের ‘ফ্ল্যাগশিপ’ বা অন্যতম যুদ্ধজাহাজ মসকভা ‘গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে, কীভাবে যুদ্ধজাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে রাশিয়া কিছু জানায়নি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুধু জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এদিকে, ইউক্রেন আগেই দাবি করেছে—তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই মসকভা যুদ্ধজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটি কৃষ্ণসাগরে ছিল। তাদের ছোড়া রকেটের আঘাতে জাহাজটিতে বিস্ফোরণ হয়। তবে, এর ফলে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনোপক্ষই কিছু জানায়নি।
মারিউপল নিয়ে রাশিয়ার দাবি
এদিকে, গতকাল বুধবার রাশিয়া দাবি করেছে—ইউক্রেনের মারিউপল শহর এখন পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি—মারিউপলে ইউক্রেনের এক হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটিতে লড়াইও বন্ধ হয়েছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনারা এখন বন্দরনগরী মারিউপল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং আজভ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের ঘেরাও করে ফেলা হয়েছে। তাদের পালানোর কোনো সুযোগ নেই।
আজভ ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মারিউপলে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেন অবশ্য জানিয়েছে—এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। মারিউপল রাশিয়া দখলে নিয়েছে বলে স্বীকার করেনি ইউক্রেন, স্বীকার করেনি সেনা আত্মসমর্পণের দাবিও।
রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা হলে কিয়েভের কমান্ড সেন্টারে হামলা
রুশ সামরিক বাহিনী বুধবার হুমকি দিয়ে বলেছে—ইউক্রেনের সৈন্যরা যদি রাশিয়ার ভূখণ্ডে অব্যাহত হামলা চালায়, তাহলে রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের কমান্ড সেন্টারে হামলা চালানো হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ইউক্রেনীয় সেনাদের নাশকতা চালানোর এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর চেষ্টা দেখেছি। যদি এ ধরনের ঘটনা চলতে থাকে, তাহলে রুশ বাহিনী কিয়েভসহ সব কমান্ড সেন্টারে বিমান হামলা চালাবে।’
মার্কিন সাহায্য
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ইউক্রেনকে বিপুল অর্থের অস্ত্রসাহায্য করা হবে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র জাহাজে তুলেও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, নতুন অস্ত্রে ইউক্রেন আরও শক্তিশালী লড়াই চালাতে পারবে। এর মধ্যে হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক ড্রোন, যা ব্যাকপ্যাকের সাহায্যে চালানো যায়। এ ছাড়া গোলাবারুদ ও সাঁজোয়া গাড়িও রয়েছে।