ইউক্রেন শর্ত মানলে ‘মুহূর্তেই’ হামলা বন্ধ করবে রাশিয়া
ইউক্রেন শর্তের একটি তালিকা মেনে নিলে ‘এক মুহূর্তেই’ সেখানে সামরিক অভিযান বন্ধ করে দিতে রাশিয়া প্রস্তুত। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার একথা বলেছেন।
রাশিয়ার শর্ত বা দাবিদাওয়াগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, মস্কো চায় ইউক্রেন সামরিক তৎপরতা বন্ধ করুক, নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করুক, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার ভূখন্ড হিসেবে স্বীকার করে নিক এবং দোনেৎস্ক ও লুহান্সক বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিক।
ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর কথা বলে আগ্রাসন শুরুর ১২ তম দিনে এসে রাশিয়া এই প্রথম স্পষ্ট বিবৃতিতে তাদের শর্তগুলো কিয়েভকে জানাল।
পেসকভ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন শর্তগুলো সম্পর্কে জানে। তাদেরকে বলা হয়েছে, এসব শর্ত পূরণ করলে এ মুহূর্তেই রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ হতে পারে।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
রাশিয়া কিয়েভ দখলে নিতে চাইছে সেকথা ‘সত্য নয়’ জানিয়ে পেসকভ বলেন, ‘আমরা আসলেই ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করছি। আমরা এটা করে ছাড়ব। তবে মূল বিষয়টি হচ্ছে, ইউক্রেন সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুক। তাদের উচিত সেনাবাহিনীর তৎপরতা বন্ধ করা। তখন আর কেউ গুলি ছুড়বে না।’
ওদিকে, নিরপেক্ষতার প্রশ্নে পেসকভ বলেন, ইউক্রেন নেটো বা অন্য কেনো জোটে যোগ দিতে পারবে না, এবং সেজন্য তাদেরকে দেশের সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
দুই দেশের প্রতিনিধিরা যুদ্ধ বিরতির লক্ষ্যে সোমবার বেলারুশে তৃতীয়বারের মত বৈঠক করার দিনেই রাশিয়ার এসব দাবি নতুন করে তুলে ধরলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।