ইউরোপে বাড়ছে করোনা, বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম
বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় তিন শতাংশ কমে শুক্রবার ব্যারেলপ্রতি ৮০ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ইউরোপজুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৈশ্বিক অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি কিছুটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগকারীরা চাইছেন—অপরিশোধিত তেলের বড় মজুদকারী দেশগুলো যেন নিজেদের কাছে থাকা তেল ছেড়ে দেওয়া শুরু করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
কিছুটা পরিশোধিত তেলের দাম ২ দশমিক ৩৫ অথবা ২ দশমিক ৯ ডলার কমে জানুয়ারি নাগাদ ৭৮ দশমিক ৮৯ ডলার নির্ধারিত হয়েছে।
ডিসেম্বরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ২ দশমিক ৯১ অথবা ৩ দশমিক ৬ ডলার কমে ৭৬ দশমিক ১০ ডলার নির্ধারিত হয়েছে। জানুয়ারির জন্য ডব্লিউটিআই ২ দশমিক ৬৫ অথবা ৩ দশমিক ৪ ডলার কমিয়ে ৭৫ দশমিক ৭৮ ডলার ধরা হয়েছে।
টানা চার সপ্তাহ পরিশোধিত এবং কিছুটা পরিশোধিত তেল—দুই ধরনের তেলেরই দরপতনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের মার্চের পর এমন ঘটনা এই প্রথম।
অজানা কোনো ভয় বাজার প্রবণতাকে তাড়িত করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর প্রাইস ফিউচারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন। তিনি বলছেন, ‘চিন্তার বিষয় হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে থ্যাংকসগিভিংয়ের বন্ধের সময়ও কিছু তেল বাজারে ছাড়া হতে পারে।’
ইউরোপে করোনা বাড়তে শুরু করায় বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি দেশগুলোর নেতাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিম ইউরোপের অস্ট্রিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আবারও পূর্ণাঙ্গ লকডাউন আরোপ করেছে।