ইকুয়েডরে কফিনের সংকট, নেওয়া হলো বিকল্প ব্যবস্থা
ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী গুয়ায়াকুইলে করোনাভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কফিনের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে কার্ডবোর্ড দিয়ে কফিন বাক্স তৈরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। নগরী কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার এ কথা জানায়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর নগরী গুয়ায়াকুইল কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে এক হাজার কার্ডবোর্ডের কফিন বাক্স অনুদান পেয়েছে। সেগুলো ব্যবহারের জন্য স্থানীয় দুটি সমাধিস্থলে পাঠানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
নগরীর মুখপাত্র বলেন, এসব কার্ডবোর্ড বাক্সের কফিন পাঠানো হয়েছে যাতে তারা প্রয়োজন মেটাতে পারে। নগরীতে কোনো কফিন নেই বললেই চলে, বা থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ী সান্টিয়াগো অলিভার্স জানান, দেশে কফিনের চাহিদা এতই বেশি যে তাঁর কোম্পানি সে অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না।
সান্টিয়াগো অলিভার্স বলেন, ‘আমি নগরীর কেন্দ্রীয় শাখা থেকে ৪০টি এবং আমার প্রধান কার্যালয় থেকে আরো ৪০টি কফিন বিক্রি করেছি।
বর্তমানে সবচেয়ে কমদামি কফিনের দাম ৪০০ ডলার।’
অলিভার্স আরো বলেন, নগরীতে ১৫ ঘণ্টা কারফিউ জারি করায় কাঠের ও ধাতব কফিন তৈরির মৌলিক কাঁচামালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া ভিডিও ফুটেজে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ল্যাটিন আমেরিকার এ দেশটিতে বিভিন্ন রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সরকার এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে বিভিন্ন রাস্তায় ও বাসাবাড়ি থেকে ১৫০টি লাশ উদ্ধারে সৈন্যদের নির্দেশ দেয়।
গুয়ায়াকুইল মেয়র দপ্তরের টুইটার বার্তায় বলা হয়, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সমাধির কাজে কার্ডবোর্ড কফিন অনেক কাজে আসছে।
ইকুয়েডরে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৬৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮০ জন মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই গুয়ায়াকুইল এবং এর পার্শ্ববর্তী প্রদেশ গুয়াসের বাসিন্দা।