ঈদের জামাত ও হজযাত্রা বাতিল করল সিঙ্গাপুর
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছরের ঈদুল ফিতরের জামাত ও আবেদনকারীদের হজযাত্রা বাতিল করেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর (মুইস)। খবর : দ্য স্ট্রেইট টাইমস।
সারা বিশ্বের মতো সিঙ্গাপুরেও প্রতিবছর পবিত্র রমজানের শেষে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর, স্থানীয় ভাষায় যা হারি রায়া আইদিলফিতরি নামে পরিচিত। সেখানে আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠিত হতে পারে এবারের ঈদুল ফিতর।
মুইস জানিয়েছে, ঈদের দিনও সিঙ্গাপুরের ৭০টি মসজিদই বন্ধ থাকবে। তবে ওই দিন সকালে মুসলমানরা নিজ নিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নিতে ও খুতবা শুনতে পারবেন। স্থানীয় রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, মুইসের ফেসবুক পেজে জামাত ও খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
করোনার কারণে ঈদের জামাতের পাশাপাশি এ বছর সিঙ্গাপুরের মুসলিমদের হজযাত্রাও বাতিল করা হয়েছে। এবারের ৯০০ আবেদনকারীর হজযাত্রার শিডিউল স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগামী বছর নির্ধারিত হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুরের মুসলিমবিষয়ক মন্ত্রী মাসাগোস জুলকিফলি বলেন, ‘এ বছর হজ করতে চাওয়া ৮০ ভাগেরও বেশি সিঙ্গাপুরিয়ান নাগরিকের বয়স ৫০ বছরের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই শ্রেণির মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরিক জটিলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।’
‘এ ছাড়া কর্মজীবী তরুণ হজযাত্রীরা চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে হজ পালনের জন্য ছুটিপ্রাপ্তি এবং তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিঙ্গাপুরে ফেরার পর ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ১৪ দিন বাড়িতে থাকার নোটিশের কারণে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।’
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম এবং মুসলিমদের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ হজে অংশ নিতে প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম মক্কা-মদিনায় যান। গত বছরও হজে অংশ নিয়েছিলেন অন্তত ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত মার্চে হজ এজেন্সিগুলোতে এ বছরের বুকিং বা অর্থগ্রহণ নিষিদ্ধ করে নির্দেশনা জারি করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এখন পর্যন্ত ২০২০ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য হজ বাতিলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি তারা।