‘উ. কোরিয়ার মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনার জবাব পাবে যুক্তরাষ্ট্র’
উত্তর কোরিয়ার সরকার ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিদ্বেষমূলক শব্দ’ ব্যবহার কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তুলবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দেন, উত্তর কোরিয়ার সরকার ব্যবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, এমন কোনো বক্তব্য যদি যুক্তরাষ্ট্র দেয়, তাহলে এর জবাব তারা পাবে।
এর আগে গত বুধবার এক বার্ষিক রেস্যুলুশনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ‘দীর্ঘস্থায়ী ও চলমান’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়। যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বার্ষিক রেস্যুলুশন আয়োজিত হয়। তবে পিয়ংইয়ংয়ের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতকে এতে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগেন পিয়ংইয়ংকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে তাতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আলোচনার প্রসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরো আলোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বৈরী নীতি’ ত্যাগ করতে হবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটি একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।