একই শহর নিয়ন্ত্রণের দাবি রাশিয়া-ইউক্রেন দুপক্ষেরই
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহর লিসিচানস্ক এখন প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুপক্ষই দাবি করছে শহরটি তাদের দখলে রয়েছে।
ইউক্রেন বলছে—তারা সেখানে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ব্যাপক হামলার শিকার হচ্ছে। কিন্তু, জোর দিয়ে বলছে যে—শহরটি তাদের দখলেই রয়েছে। যদিও রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।
রাশিয়ার গণমাধ্যমে ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, শহরের কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা রাশিয়ান সেনারা কুচকাওয়াজ করছে।
রাশিয়ার বিভিন্ন সূত্র থেকে টুইটারে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে—শহরটির ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ভবনে রুশ পতাকা উড়ছে। তবে তা নিরপেক্ষ কোনো সূত্র দ্বারা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
লিসিচানস্ক ছিল ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক অঞ্চলের ভেতরে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত শেষ শহর। দনবাস অঞ্চলের একাংশে অবস্থিত এটি।
লুহানস্কের গভর্নর শেরি হাইডা বলেছেন, রুশ সেনারা সব দিক থেকে শহরে প্রবেশ করছে।
রাশিয়ায় লুহানস্কের রাষ্ট্রদূত রোডিওন মিরশনিক রাশিয়ার এক টেলিভিশনকে বলেছেন, শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। তবে, শহরটি এখনও স্বাধীন নয়।
প্রতিরক্ষা বিষয়ক ব্লগার রব লি শহরের ভেতরে রাশিয়ান সেনাদের ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়া বলে আসছে তারা ইউক্রেন থেকে ‘নাৎসি উচ্ছেদ এবং দেশটির বেসামরিকীকরণ’ করছে।
হামলা শুরুর পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। এক কোটি ২০ লাখের মত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।