এক মাসের মধ্যে ইউরোপে প্রাধান্য বিস্তার করবে ওমিক্রন : ইইউ
করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন আগামী একমাসের মধ্যে ইউরোপে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইউরোপের দেশগুলোর ঐক্য সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর নির্বাহী পর্ষদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি ও এপির।
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে উরসুলা বলেন, ‘আপনারা যদি এই ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার গতি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন- প্রতি দুই বা তিন দিনের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি হারে বাড়ছে।’
‘আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, সংক্রমণের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি ইউরোপে এই ধরনটিই প্রধান হয়ে উঠবে।’
উরসুলা ভন ডার লিয়েন জানান, ইউরোপের ২৭-জাতির ব্লকে ৬৬ দশমিক ৬ ভাগ জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে টিকা গ্রহণ করেছেন। ইইউ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত।
সংস্থাটির শীর্ষ নির্বাহী ভন ডার লিয়েন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মহামারি আবার বছরের শেষের উদযাপনগুলোকে ব্যাহত করবে, তবে ভন ডার লিয়েন বলেছেলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘শক্তি’ এবং ‘উপায়’ রয়েছে কোভিড-১৯ কাটিয়ে উঠার।
‘আপনাদের অনেকের মতো, আমিও দুঃখিত যে, আবারও এই ক্রিসমাস (বড়দিনের উৎসব) মহামারি দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর পাঁচ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন।
জাপানের বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেলটার চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি।