এবার বিজেপি ছাড়লেন শ্রাবন্তী
এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। শ্রাবন্তীর বিজেপিত্যাগ নিয়ে জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। একেবারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বোমা’ ফাটিয়ে দল ছাড়লেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টুইটে শ্রাবন্তী লেখেন, ‘বিজেপির সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করছি। গত রাজ্যসভা নির্বাচনে দলটির হয়ে লড়েছি আমি। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বিজেপি আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব রয়েছে তাদের।’
কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজয়া সম্মেলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শ্রাবন্তীকে। কিন্তু তিনি যাননি। বিজেপিতে রয়েছেন বলেই যাননি বলে শোনা গিয়েছিল। তবে সে অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেত্রীকে দেখা গিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের গত বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির হয়ে লড়াই করেছিলেন শ্রাবন্তী। দক্ষিণ কলকাতার বেহালার মতো তৃণমূলের শক্তঘাঁটি থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়েন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হার মানতে হয় শ্রাবন্তীকে। প্রায় ৫০ হাজার ৮৮৪ ভোটে হারতে হয় তাঁকে। ভোট প্রচারে নিজেকে বেহালার ঘরের মেয়ে হিসেবে প্রচারণা করতে কোনোকমতি রাখেননি শ্রাবন্তী। কিন্তু তাতেও ভাগ্য ফেরেনি।
শুধু শ্রাবন্তীকেই নয়, নির্বাচনে প্রবল তৃণমূল ঝড়ের কাছে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। আর এরপর থেকেই একের পর এক বিজেপি নেতা দূরে সরে গেছেন। এমনকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পথে হেঁটেছেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক।
তবে ভোটে শ্রাবন্তী হেরে গেলেও সৌজন্যের রাজনীতি দেখান পার্থ। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই শ্রাবন্তীকে ফোন করেন তিনি। এলাকার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন। আর বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ কাজ করে যায়। সৌজন্যের রাজনীতি দেখে কিছুটা হলেও মন গলে যায় অভিনেত্রীর। আর সেই সময় থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ভোটের পর থেকে শ্রাবন্তীকে বিজেপিতে আর দেখা যায়নি। বরং তৃণমূলের নেতাদের কাছাকাছি থাকতে দেখা গেছে তাঁকে।
পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন শ্রাবন্তী। সেই সময় মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষদের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।