এবার সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি অভিযোগ আনছে দেশটির জান্তা সরকার। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবার সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে।
৭৫ বছর বয়সী এই নোবেলজয়ী রাজনীতিবিদ এখন হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আগে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি কেনার অভিযোগ আনে জান্তা সরকার। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক বিধিনিষেধ ভাঙায়ও অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে।
বুধবার রাতে সেনাবাহিনী পরিচালিত মায়াওয়াদি চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, এক ব্যবসায়ী সু চিকে কয়েক বছরে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন।
মং ওয়েইক নামের ওই ব্যবসায়ী বলেন, নিজের ব্যবসার মঙ্গলের জন্য তিনি সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের এই পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন।
ভিডিওতে একজন ঘোষককে বলতে শোনা যায়, ‘অং সান সু চি দুর্নীতিতে জড়িত ও তাঁকে দুর্নীতিবিরোধী আইনে অভিযুক্ত করা হবে।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তখন সু চি এবং তাঁর দলের একাধিক নেতাকে আটক করা হয়। এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
ফেব্রুয়ারির পর থেকে চলমান এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তাকারী সংস্থা অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি)।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের অবসান ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে রয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি সাধারণ জনগণ।
এদিকে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আজ শুক্রবারও আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। দেশটির অংবান শহরে আজ সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধীদের ওপর গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় গণমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।