এশিয়ায় প্রথম ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পেল সিঙ্গাপুর
এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুর প্রথম ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকা হাতে পেল। গতকাল সোমবার এই টিকার প্রথম চালান সিঙ্গাপুরে আসে। সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এ তথ্য জানায়।
বেলজিয়াম থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে চালানটি চালানটি দেশে নিয়ে আসা হয়। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। তিনি বলেন, ‘টিকার প্রথম চালান সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর ঘটনায় আমি আনন্দিত।’
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের কার্গো ফ্লাইট এসকিউ ৭৯৭৯ ব্রাসেলস থেকে গতকাল সোমবার রাতে ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে সিঙ্গাপুরে পৌঁছে। গত ১৪ ডিসেম্বর ফাইজারের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল সিঙ্গাপুর। ফাইজার-বায়োএনটেক ছাড়াও চীনের সিনোভ্যাকের সঙ্গে মোট এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার ব্যয়ে ভ্যাকসিন বাজেট রয়েছে সিঙ্গাপুরের। দেশটির নাগরিক ও দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীদের বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সিঙ্গাপুরের প্রায় ৫৮ লাখ অধিবাসীর সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি ও চিকিৎসাগতভাবে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পেলেও ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে টিকা নিতে লোকজনকে উৎসাহিত করা হলেও এ ব্যাপারে কোনও জবরদস্তি করা হবে না। টিকা নেওয়ার বিষয়টি হবে পুরোপুরি ঐচ্ছিক।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
সোমবার ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) প্রধান এমের কুক বলেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দিতে সক্ষম।