ওমিক্রন মোকাবিলায় আজ থেকে নেদারল্যান্ডসে কঠোর লকডাউন
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ নিয়ে চলমান উদ্বেগের মধ্যে আজ রোববার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে নেদারল্যান্ডসে করোনা মোকাবিলায় এত কঠিন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি। এবারের লকডাউনে দেশটিতে কমপক্ষে আসন্ন জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে জরুরি নয়—এমন সব দোকানপাট, পানশালা, শরীরচর্চা কেন্দ্র, সেলুনসহ অন্যান্য গণজমায়েতস্থল। এ ছাড়া বিধিনিষেধে বলা হয়েছে—বাসাবাড়িতে দুজনের বেশি অতিথি আসতে পারবে না। তবে, ছুটির দিনে চার জনের আসার অনুমতি থাকছে।
এমন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ ‘অনিবার্য’ ছিল—বলছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।
এদিকে, নেদারল্যান্ডসের এবারে লকডাউনের সিদ্ধান্ত সব মহলে একইভাবে গৃহীত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। কেননা গতমাসেই দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে লোকজন ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিল। নেদারল্যান্ডসে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নভেম্বরে লকডাউন আরোপ করায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দ্য হেগ শহরের সড়কে বাইসাইকেলে আগুন দেন বিক্ষুব্ধরা। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি ছোড়েন তাঁরা। রটারডাম শহরে বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিলে পুলিশ ফাঁকাগুলি ছোড়ে। সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, দ্য হেগে রোগী বহন করা একটি অ্যাম্বুলেন্সের জানালায় বিক্ষোভকারীদের কেউ একজন পাথর ছুড়ে মারেন। এ ছাড়া বিক্ষোভে পাঁচ জন পুলিশ আহত হন। এবং অন্তত তিন জন বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্য হেগে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে সেটাই প্রথম প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছিল না। এর আগে গত জানুয়ারিতে পূর্ণ লকডাউনের প্রতিবাদে পথে নেমেছিল ডাচ লোকজন।
করোনার এ যাবৎকালের সর্বাধিক রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় ইউরোপের অনেক দেশেই কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।