ওমিক্রন রুখতে টিকার দুই ডোজ যথেষ্ট নয়, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের সতর্কতা
নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট রুখতে কোভিড টিকার দুই ডোজ যথেষ্ট নয় বলে সতর্কতা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ওমিক্রন ও ডেলটা ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে করা প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে—নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা কম। কিন্তু, তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়া ৭৫ শতাংশ মানুষ কোভিড উপসর্গে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে নতুন করে ৪৪৮ জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে এ ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ২৬৫ জনে। এদিন মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৪ জন। এক দিনে আক্রান্তের হিসেবে গত ৯ জানুয়ারির পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ।
দুই থেকে তিন দিন পরপর যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) বলছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ দেশটির করোনায় আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি হবে ওমিক্রন। আর, এ বৃদ্ধির গতি যদি এমন থাকে, তাহলে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ দৈনিক আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
কয়েক হাজার ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত রোগীর তথ্য এবং ৫৮১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়ে ইউকেএইচএসএ বিশ্লেষণী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। নতুন ভ্যারিয়্যান্টের বিপক্ষে করোনার টিকা কতটা কার্যকর তা দেখার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ সীমিত পরিমাণ তথ্যের ভিত্তিতে করা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন ভ্যারিয়্যান্টের বিপক্ষে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা কম কার্যকর এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের দুই ডোজ টিকার কার্যকারিতা আরও কম।
তবে, বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা মিলছে। আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলোর তুলনায় বুস্টার ডোজের এ সুরক্ষার মাত্রা খুব বেশি কিছু নয় অবশ্য।
অন্যদিকে, মডার্না ও জনসনের টিকা নিয়ে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে, এমন মনে করারও কোনো কারণ নেই যে—এসব টিকার ক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো ফলাফল আসবে।
যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
ইউকেএইচএসএ’র রোগ প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান ড. ম্যারি রামসে বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিশ্লেষণের তথ্য সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। তবে বোঝা যাচ্ছে—দুই ডোজ টিকা নেওয়ার কয়েক মাস পর ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।’