করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট : আফ্রিকার কয়েকটি দেশ নিয়ে সতর্ক যুক্তরাজ্য
করোনার নতুন একটি ভ্যারিয়্যান্ট বা ধরন শনাক্ত হওয়ায় আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণবিষয়ক বিধিনিষেধ আরোপ করছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো ও এসোয়াতিনি থেকে যুক্তরাজ্যে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন—যুক্তরাজ্যের লাল তালিকায় আরও ছয়টি দেশের নাম যুক্ত হতে যাচ্ছে। এসব দেশ থেকে সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হবে।
এক গবেষক দাবি করছেন, বি.১.১.৫২৯ নামে পরিচিত নতুন ধরনটি তাঁদের দেখা সবচেয়ে খারাপ ভ্যারিয়্যান্ট। তবে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে কোভিডের নতুন ধরনটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং ও বতসোয়ানায় এখন পর্যন্ত মোট ৫৯ জনের শরীরে নতুন ধরনের এ ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাভিদ বলছেন, গবেষকেরা কোভিডের নতুন ধরনটি নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। তবে, এটি সম্পর্কে আরও জানার প্রয়োজন রয়েছে।
সাজিদ জাভিদ আরও বলেন, ‘নতুন এ ধরনটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যকবার মিউটেশন (রূপান্তর) ঘটিয়েছে। আমরা ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টে যে পরিমাণ মিউটেশন দেখেছি, এটি সম্ভবত তার দ্বিগুণ। ভ্যারিয়্যান্টটি আরও সংক্রামক হতে পারে। এবং আমাদের কাছে বর্তমানে যে টিকাগুলো রয়েছে, এ ধরনটির ক্ষেত্রে সেগুলো কম কার্যকরও হতে পারে।’
এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি নিয়ে আজ শুক্রবার বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের নাম ‘বি.১.১.৫২৯’। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে এ ধরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার এ ধরনটি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মিউটেশন ঘটিয়েছে। লন্ডনের ইউসিএল জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বলেন, বি.১.১.৫২৯ ধরনটির অনেক মিউটেশন হয়েছে। এ স্তরে ধরনটির সংক্রমণের ক্ষমতা কেমন, তা ধারণা করা কঠিন।