কানাডার অ্যালবার্টায় দশটি গির্জায় ব্যাপক ভাঙচুর
কানাডার অ্যালবার্টায় দশটি গির্জায় ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘কানাডা ডে’ উদযাপনের আগ মুহুর্তে এ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে ভাঙচুর করা হয়।
এসব ভাঙচুরের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অন্তত দুটি পরিত্যক্ত স্কুলে গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার সম্পর্ক আছে বলে মনে করছে পুলিশ। অ্যালবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি গির্জায় এ ধরনের হামলায় ‘স্তম্ভিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ক্যালগেরি শহরের একাধিক গির্জায় ভাঙচুরের পাশাপাশি কমলা ও লাল রং ছিটানো হয়েছে এবং কোথাও কোথাও দরজা ও দেয়ালে হাতের রঙিন ছাপ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের মে ও জুনে পরিত্যক্ত দুই আবাসিক স্কুলে কয়েকশ অচিহ্নিত কবর আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে উত্তর আমেরিকার এ দেশটিতে বিভিন্ন গির্জায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।
সাবেক এসব স্কুল ১৯ ও ২০ শতকে ক্যাথলিক চার্চের অধীনে পরিচালিত হত। এসময় দেড় লাখের বেশি আদিবাসী শিশুকে এসব স্কুলে জোর করে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে কবরগুলো ওই শিশুদেরই।
সর্বশেষ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের একটি সাবেক আবাসিক বিদ্যালয়ের কাছে ১৮২টি অচিহ্নিত কবর পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে একটি আদিবাসী গোষ্ঠী। এর আগে, মে ও জুন মাসেও এমন ধরনের দুইটি বিদ্যালয় থেকে কয়েকশ কবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিবাসী নেতারা ধারণা করছেন, তদন্ত অব্যাহত থাকলে আরও কবর পাওয়া যাবে।
১৮৩১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চালু ছিল এ ধরনের ১৩০টি আবাসিক স্কুল। কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার যদিও এই প্রথার জন্য ২০০৮ সালে ক্ষমা চেয়েছে, কিন্তু এসব আবাসিক স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে যে প্রতিষ্ঠানের হাতে ছিল, সেই প্রধান ক্যাথলিক চার্চ এখন পর্যন্ত এ জন্য ক্ষমা বা দুঃখ প্রকাশ করেনি।