কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই মিয়ানমার ছাড়লেন মার্কিন সাংবাদিক
অভিবাসন ও সন্ত্রাস দমন আইনের লঙ্ঘন এবং সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উসকানির দায়ে মিয়ানমারে ১১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার তিন দিন পর মুক্তি পেয়েছেন দেশটিতে কারাবন্দি মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টার। সোমবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে তাঁর নিয়োগকারী সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার নিশ্চিত করেছে।
ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের প্রকাশক সনি সোয়ে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘দারুণ সংবাদ। ড্যানি ফেনস্টার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে আমি শুনেছি।’
ড্যানি ফেনস্টার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একটি ফ্লাইটে করে মিয়ানমার ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তবে কারাগার থেকে মুক্তি এবং কোন দেশের উদ্দেশে ফেনস্টার মিয়ানমার ছেড়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি ফ্রন্টিয়ার। খবর রয়টার্সের।
গত শুক্রবার অভিবাসন ও সন্ত্রাস দমন আইন লঙ্ঘন এবং উসকানির অভিযোগে মার্কিন এই সাংবাদিককে ১১ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন মিয়ানমারের একটি আদালত। এ ছাড়া তার মুক্তির বিষয়টিও তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে ফেনস্টারের পরিবার, ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস এবং মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অনলাইন ম্যাগাজিন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ৩৭ বছর বয়সী ফেনস্টারকে গত মে মাসে গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা মিয়ানমার ত্যাগের চেষ্টার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিয়ানমারে কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম পশ্চিমা কোনো সাংবাদিক হিসেবে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ক্ষমতা দখলের পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন দেশটির গণতন্ত্রকামীরা।
দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার খবর প্রকাশ করায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কয়েক ডজন সাংবাদিককে আটক করেছে। সাংবাদিকদের পাশাপাশি বিক্ষোভকারী হাজার হাজার গণতন্ত্রকামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।