ক্ষমতা দখলের পর প্রথম বাজেট দিল তালেবান
গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো বাজেট দিল তালেবান। গত বুধবার এই বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এনডিটিভি ও এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান প্রণীত বাজেটে কোনো বিদেশি সাহায্যের উল্লেখ নেই। যদিও আফগানিস্তানের ৪০ শতাংশ জিডিপিই আসে আন্তর্জাতিক সাহায্য থেকে। সাবেক মার্কিন-সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন বাজেটের ৮০ শতাংশই ছিল আন্তর্জাতিক সহায়তা।
গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর পশ্চিমা দেশগুলো বিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ করে দেয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, আফগানিস্তানের জন্য একটি ‘অভূতপূর্ব আর্থিক ধাক্কা’।
তালেবান অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমদ ওয়ালি হকমাল বলেছেন, ‘গত দুই দশকে প্রথমবারের মতো আমরা এমন একটি বাজেট তৈরি করেছি, যা বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। এটি আমাদের জন্য একটি খুব বড় অর্জন।’
গত বুধবার তালেবান অনুমোদিত ৫৮ কোটি ডলারের বাজেট চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই অর্থগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করা হবে।
হকমল বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্মীরা যাঁদের অনেকেই কয়েক মাস ধরে বেতন পাননি, তাঁরা জানুয়ারির শেষে বেতন পেতে শুরু করবেন। নারী কর্মীদেরও বেতন দেওয়া হবে।
তালেবান সরকারে পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবহন অবকাঠামোসহ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ৪৭০ কোটি আফগানি ব্যয় করা হবে।
এদিকে আগামী মার্চ মাসে তাদের প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তানের সৌর পঞ্জিকার সঙ্গে মিল রেখে অর্থবছর বদল করার পরিকল্পনা করেছে তালেবান সরকার।