খেরসনের ৫০০ বর্গকিলোমিটার পুনর্দখলের দাবি ইউক্রেনের
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নতুন মোড় নিয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়। এরপর থেকে চলছে তীব্র লড়াই। সম্প্রতি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়া। তবে গণভোট হওয়া খেরসনের অন্তত পাঁচশ বর্গকিলোমিটার পুনরায় দখলের দাবি করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন বলছে, দেশটির দক্ষিণে রুশ সৈন্যদের কাছ থেকে কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে তাদের সেনারা। বৃহস্পতিবার ( ৫ অক্টোবর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সেনারা আরো পাঁচশ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। শনিবার থেকে দক্ষিণ খেরসনে বসতি স্থাপনের কথাও জানান তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, পূর্বেও বেশ কিছু সাফল্য এসেছে তাদের।
দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া গুমেনিউক বলেছেন যে পুনরুদ্ধার করা অঞ্চলটিতে প্রায় ৩০টি শহর ও গ্রামের ঘরবাড়ি রয়েছে যা কয়েক মাস ধরে রুশ বাহিনীর দখলে ছিল।
যুদ্ধ শুরুর আগে খেরসনে লোকসংখ্যা ছিল অন্তত ১০ লাখ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনারা হামলার পরপরই এই অঞ্চলটি দখলে নেয়। এদিকে, রুশ সমর্থিত নেতারা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে, ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্তির বিলে আনুষ্ঠানিকভাবে সই করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার পরও তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়া ওই চার অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলো গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর)।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের অধিকৃত চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন পুতিন। এর আগে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রশ্নে গণভোট শুরু হয় গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। পাঁচদিন ধরে চলে এই ভোট। গণভোটে ৯৬ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে মত দিয়েছে বলে দাবি করে মস্কো। এই ভোট এবং এর ফলাফল অস্বীকার করে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা। গণভোটের তীব্র নিন্দা জানায় জাতিসংঘও।