গণআন্দোলনের মুখে চিলি সরকারের নতি স্বীকার, এপ্রিলে গণভোট
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে চিলির সরকার দেশটির সংবিধান পরিবর্তনের জন্য এপ্রিলে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দীর্ঘ দরকষাকষি শেষে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সরকারি কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য ওই গণভোটে জনগণের সামনে প্রশ্ন থাকবে — তারা সংবিধানের পরিবর্তন চায় কি না? পাশাপাশি মতামত চাওয়া হবে কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তারা সংবিধানের পরিবর্তন প্রত্যাশা করে?
এর আগে, চিলিতে সামাজিক সংস্কার ও সংবিধানের পরিবর্তন চেয়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। সাবওয়ের ভাড়া বাড়ানোর জের ধরে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী আহত হন।
সাক্ষরিত ‘এগ্রিমেন্ট ফর পিস অ্যান্ড নিউ কনস্টিটিউশন’ চুক্তি অনুযায়ী, তিনটি ভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে যেকোনো একটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে পছন্দসই ভোট দিতে পারবেন চিলিবাসী। এই তিন কর্তৃপক্ষ হলো, জনগণের সরাসরি ভোট নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অথবা এই দুইয়ের সমন্বয়ে গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
চিলির বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র দায়বদ্ধ নয়। বিক্ষোভকারীরা এ দুটি বিষয়কে সংবিধানভুক্ত করতেই আন্দোলন করছেন।