গাজায় ফের বিমান হামলা, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে নতুন যুদ্ধের নির্দেশনা
এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। বিস্ফোরকভর্তি বেলুনের জবাবে শুক্রবার সকালে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ’র খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গাজা থেকে পাঠানো বিস্ফোরকভর্তি বেলুনে গাজা সংলগ্ন দক্ষিণ ইসরায়েলের অন্তত আটটি জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এর জবাবে বৃহস্পতিবার রাতে গাজা উপত্যকার খান ইউনিস ও গাজা সিটিতে হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
হারেৎজের খবরে বলা হয়, আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি সামরিক বাহিনীকে গাজার বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
হারেৎজ আরও জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বিমান হামলা চালানোর পর আজ শুক্রবার সকালে গাজাসংলগ্ন ইসরায়েলি কমিউনিটিতে সাইরেন বেজে ওঠে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত বুধবার প্রথম গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে আবারও হামলা চালানো হলো।
এর আগে গত বুধবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে প্রথম হামলার সময় আইডিএফ দাবি করে, গাজা থেকে পাঠানো বিস্ফোরকভর্তি বেলুনে অন্তত ২০ জায়গায় আগুন ধরে গেছে।
জেরুসালেমে ইহুদিদের মিছিল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ১০ মে পূর্ব জেরুসালেম দখলের দিনটিকে উদযাপন করে মিছিল শোভাযাত্রা করে ইসরায়েলিরা। গত মাসে গাজায় টানা ১১ দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলা ও ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলায় যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় তা হয়ে ওঠেনি। গত মঙ্গলবার জেরুসালেমে এমন মিছিল বের করে ইসরায়েলিরা। মিছিলের জন্য সড়ক ফাকা রাখতে প্রতিবাদী ফিলিস্তিনিদের অনেককে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনের ওপর রাবার বুলেটও ছোড়া হয়।
গতমাসে রমজানের শেষভাগে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জেরুসালেমে মসজিদুল আকসায় মুসলিমরা জমায়েত হলে ইসরায়েলি পুলিশসহ স্থানীয়রা মুসলিমদের ওপর চড়াও হয়। এতে গোটা মসজিদ প্রাঙ্গণে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদ শুরু হয় গাজা উপত্যকায়। হামাস রকেট হামলা শুরু করে। ইসরায়েলও গাজায় বিমান হামলা চালায়। টানা ১১ দিনের ইসরায়েলি হামলায় ৬৬ শিশুসহ ২৫৬ জন নিহত হন। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২ জন নিহতের কথা জানা যায়।