চীন-রাশিয়া বিশ্বে একনায়কতন্ত্র রপ্তানি করতে চায় : যুক্তরাজ্য
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সতর্ক করে যুক্তরাজ্য বলেছে, গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পশ্চিমা দেশগুলো এক জোট হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী যেকোনো সময়ের মধ্যে এখন রাশিয়া ও চীন ‘বেশি সাহসী’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্য এ সতর্কতা উচ্চারণ করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ার লোয়ি ইনস্টিটিউটে দেওয়া এক বক্তৃতায় ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোকে অবশ্যই একসঙ্গে সাড়া দিতে হবে। ভারত মহাসাগরীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে হবে এবং ‘বিশ্বব্যাপী হানাদারদের মুখোমুখি হতে হবে’।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগ্রাসনকারীরা সারা বিশ্বে একটি সেবা হিসেবে একনায়কতন্ত্র রপ্তানি করতে চায়। এ কারণেই বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমারের মতো শাসনব্যবস্থা মস্কো ও বেইজিংয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র খুঁজে পায়।
পশ্চিমা নেতারা বলছেন, ২১ শতক কেমন হবে, তা নির্ধারিত হবে গণতন্ত্র এবং চীন ও রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে লড়াই দ্বারা। তারা আরও বলছেন, চীন-রাশিয়ার মতো দেশগুলো শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী ঐকমত্যকে সামরিক, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করছে।
চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উত্তেজনাকর সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই দুই দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন, একনায়কতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলছে পশ্চিমারা।