জার্মানিতে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য
প্রায় এক মাস পর জার্মানিতে ছোটখাটো দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত মার্চে জার্মানিতে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল। অবশেষে গতকাল সোমবার সে বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে চলতি এপ্রিলের বাকিটা সময় জার্মানবাসীকে বাইরে চলাফেরা করার সময় একে অন্যের মধ্যে অন্তত পাঁচ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা থাকছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে।’ জনগণের বাইরে চলাচলের সাময়িক শিথিলতা প্রসঙ্গেও সতর্কবার্তা দেন তিনি। মেরকেল বলেন, নতুন পদক্ষেপের প্রভাবটা বোঝা যাবে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই, ‘এতেই বুঝতে পারছেন, পরিস্থিতি কতটা কঠিন’। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
কেবল জার্মানিই নয়, বিধি-নিষেধে শিথিলতা এনেছে নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র ও ডেনমার্কও। মন্থর হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে গতিশীল করার পাশাপাশি জনগণের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশগুলো। ইউরোপীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ১০ লাখ, আর করোনায় মারা গেছে অন্তত এক লাখ মানুষ।
তবে, জার্মানিতে ছোট দোকানপাট খোলা শুরু হলেও, বেচাকেনা তেমন নেই বলে জানান বিক্রেতারা। মানুষ এখনো কেনাকাটা শুরু করার মানসিকতায় নেই বলেই জানান বিক্রেতারা।
এ ছাড়া জার্মানির কিছু শহরে খুলে দেওয়া হয়েছে চিড়িয়াখানাও। তবে সেখানেও দর্শনার্থী ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম। অবশ্য, জার্মানিতে এখনো বড় ধরনের গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৬৭২ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে চার হাজার ৪০৪ জন। তবে সম্প্রতি ধীরে ধীরে জার্মানিতে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে।