তাইওয়ানে ‘হামলার মহড়া’ চালিয়েছে চীন
তাইওয়ানে হামলার জন্য আজ শনিবার চীনা উড়োজাহাজ ও যুদ্ধজাহাজ মহড়া চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির কর্মকর্তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিশোধ হিসেবে বেইজিং বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনের নিজের দাবি করা স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে এ সপ্তাহে পেলোসির অঘোষিত ঝটিকা সফর বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে। এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে অভূতপূর্ব সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। এ মহড়ার মধ্যে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইতে ছোঁড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চীনের এ মহড়া আগামীকাল রোববার মধ্যাহ্ন পর্যন্ত চলবে।
আজ সকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়—একাধিক চীনা জাহাজ ও উড়োজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে মহড়া চালিয়েছে। এর মধ্যে কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী মনে করে—এ ধরনের পদক্ষেপ তাইওয়ানের মূল দ্বীপের ওপর আক্রমণের মহড়ার অংশ। একটি অস্বীকৃত বাফার চীন ও তাইওয়ানকে পৃথক করেছে।
চীনের মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের সেনাবাহিনী এরই মধ্যে সতর্কবার্তা সম্প্রচার করেছে এবং উপকূল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত রেখেছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য উড়োজাহাজ টহল বাহিনী এবং জাহাজ মোতায়েন করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে—তারা কিনমেন দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে উড়ে আসা সাতটি ড্রোন এবং মাতসু দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া অজ্ঞাত উড়োজাহাজকে সতর্ক করার জন্য শুক্রবার গভীর রাতে সতর্কীকরণ অগ্নি প্রজ্বালন করেছে। দুটি দ্বীপই চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি অবস্থিত।
ন্যান্সি পেলোসি গত মঙ্গলবার দিনের শেষে তাইওয়ানে পৌঁছান। এর মধ্য দিয়ে চীনের জারি করা সতর্কতা সত্ত্বেও কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম কোনো মার্কিন কর্মকর্তার তাইওয়ানে সর্বোচ্চ-স্তরের সফর করলেন।