তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি চীনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সংক্ষিপ্ত সফর শেষে গতকাল বুধবার তাইওয়ান ছেড়েছেন। তবে, আগে থেকেই এ সফরের বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল চীন। তা সত্ত্বেও পেলোসির এ সফর ঘিরে ফুঁসে উঠেছেন চীনা কর্মকর্তারা। তাই, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই দেশটিকে ঘিরে সমুদ্রসীমায় সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানানো হয়েছে।
এর আগে চীন সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয়। তাইওয়ানের চারদিকে মোট ছয়টি জায়গায় তারা তাজা গোলাবারুদ ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তিনদিন ধরে এ সামরিক মহড়া চালাবে বলে জানায়। যেটি আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তাইওয়ান বলছে, এরই মধ্যে ২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অজ্ঞাত বিমান, সম্ভবত ড্রোন দূরবর্তী কিনমেন দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। আর সেগুলোকে সতর্ক করতে তাইওয়ানও তাদের জেট উড়িয়েছে। এ ছাড়া সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সামরিক বাহিনী।
এর আগে চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি জানান, তাইওয়ানের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
‘তাইওয়ানের একজন ভালো বন্ধু’ হিসেবে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছেন জানিয়ে তাইওয়ানের ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে পেলোসি বলেন, ‘এ সফরের তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমটি হলো নিরাপত্তা, আমাদের জনগণ এবং বিশ্বের জন্য নিরাপত্তা। দ্বিতীয়টি অর্থনীতি, যতটা সম্ভব সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দেওয়া এবং তৃতীয়টি অনুশাসন।’
পেলোসির তাইওয়ান সফরের আগে গত বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বেইজিং। ওইদিন এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘যারা আগুন নিয়ে খেলে, তাদের ভালো পরিণতি হবে না এবং যারা চীনকে অপমান করে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত গণতন্ত্রের আড়ালে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে চীন। বিভিন্ন সময়ে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপটিকে পুনর্দখল করার কথা বলেছে তারা। কিন্তু, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে আসছে।