তানজানিয়ায় মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, ৫ জনের মৃত্যু
আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় অতিসংক্রামক মারবার্গভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল আটজন। এর মধ্যে পাঁচ জনই মারা গেছে। ইবোলা সংক্রমিতদের মতো উপসর্গ থাকা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, বমি ও রক্তপাত হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাতে গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
মঙ্গলবার শেষ সময়ে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিম কাগেরা অঞ্চলে পাঁচজন মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় ল্যাবরেটরিতে মৃতদের নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আক্রান্তদের জ্বর, বমি, রক্তপাত ও কিডনিতে পাথর হয়েছিল।
নিহদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী ছিল জানিয়ে ডব্লিউএইচও জানায়, আক্রান্ত তিনজনের চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ১৬১ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক মাথসিদিসো মোয়েতি বলেন, ‘তানজানিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রাদুর্ভাব নিয়ে কার্যকরভাবে সাড়া দিয়েছে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব রোধে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’
ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারবার্গ ভাইরাস বাদুড় থেকে এসেছে। সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসটি। এর কোনো ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। এতে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ। মারবার্গ ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।
ডব্লিউএইচওর তথ্যানুযায়ী, মারবার্গ ভাইরাসের উপসর্গগুলো হল- অত্যাধিক মাত্রায় জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, রক্ত বমি ও রক্তক্ষরণ। আক্রান্ত হওয়ার সাতদিনের মাথায় এই উপসর্গগুলো আক্রান্তের শরীরে দেখা যায়।