তালেবানের দাবি পানশির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে, নাকচ প্রতিরোধ বাহিনীর
আফগানিস্তানের পানশির প্রদেশ পুরোপুরি কবজায় চলে এসেছে বলে দাবি করেছে তালেবান। এই একটি অঞ্চলই তালেবানের দখলে ছিল না। অবশ্য তালেবানের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আহমদ মাসউদের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ বাহিনী—ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান (এনআরএফএ)। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রক্তক্ষয় ঠেকাতে গতকাল রোববার যুদ্ধবিরতির জন্য শান্তি আলোচনার ডাক দিয়েছিল পানশিরের প্রতিরোধ বাহিনী। সূত্রের খবর, তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধে এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনীর দুই শীর্ষ নেতার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—আহমদ মাসউদের আত্মীয়ও। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন বিদ্রোহী বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম দাশতি।
তালেবানের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তীব্র লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পানশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। তালেবানের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে পুরো দেশ যুদ্ধের আওতামুক্ত হলো।’
অন্যদিকে, তালেবানের দাবি উড়িয়ে পানশিরের প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র আলি মাইসাম বিবিসিকে বলেন, ‘এটা সত্য নয়। তালেবান পানশির দখল করেনি। আমি তালেবানের দাবি অস্বীকার করছি।’
এর আগে আফগান ধর্মী নেতাদের প্রস্তাবকে সমর্থন করে এনআরএফএ’র প্রধান আহমদ মাসউদ আলোচনার মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে সমস্যা নিষ্পত্তির আহ্বান জানান।
মাসউদ একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘যদি তালেবান তাদের হামলা বন্ধ করে দেয়, তাহলে এনআরএফএ, যার মধ্যে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী রয়েছে, যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত থাকবে।’
এদিকে, ডেইলি মেইল জানিয়েছে, এনআরএফএ’র শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে তালেবান কমান্ডার মৌলভি মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন, “পানশিরের বিদ্রোহী নেতাদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো—‘আত্মসমর্পণ করো’।”
‘আমরা তোমাদের হত্যা করতে চাই না... কিন্তু, তোমাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী’, যোগ করেন তালেবান কমান্ডার।
বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তালেবান দ্রুত পানশিরের বিভিন্ন এলাকা দখল করছে। পানশির প্রদেশের রাজধানী বাজরাকে এখনও লড়াই চলছে বলে জানা গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর নিজেদের কবজায় নিয়েছে বলে দাবি করে তালেবান।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরের পানশির প্রদেশে তালেবানের দখলের বিরুদ্ধে এনআরএফএ শুরু থেকেই প্রতিরোধ করে আসছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। তারপর থেকে পানশির ছাড়া আফগানিস্তানের বাকি প্রদেশগুলোর দখল নিয়েছে তালেবান।