তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে : জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তালেবানের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার বিষয়টি আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের বিদ্রোহীদের উৎসাহিত করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। গুতেরেস গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই তালেবানের সঙ্গে সংলাপ বজায় রাখতে হবে। আফগান জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতির মানসিকতা নিয়ে সংলাপে সরাসরিভাবে আমাদের নীতিগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, ক্ষুধার যন্ত্রণায় মৃত্যুর মুখে পড়া আফগান জনগণের প্রতি আমাদের সংহতির হাত বাড়িয়ে দেওয়া।’
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “আফগানিস্তানে ‘অর্থনৈতিক ধস’ অবশ্যই এড়াতে হবে।”
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বা বিশ্বব্যাপী জব্দ করে রাখা আফগান তহবিল ছাড়ের আহ্বান জানানো ছাড়াই জাতিসংঘের প্রধান দাবি করেন যে ‘আর্থিক সামগ্রী’ আফগানিস্তানের অর্থনীতির ‘দম নেওয়ার’ সুযোগ করে দেবে।
তবে, তালেবান তাদের গঠিত সরকারের স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেছে বলে উল্লেখ করেন আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘আর এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য সাধনের নিশ্চিত সুযোগ করে দেবে।’
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার বিষয়টি আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের জিহাদিদের ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে গুতেরেস বলেন, এটি তাদেরকে মানসিক ও বাস্তবিকভাবে উৎসাহিত করতে পারে। তারা আশাবাদি হয়ে উঠতে পারে। কয়েক মাস আগে যেটি তারা চিন্তাও করতে পারেনি। সত্যিকার অর্থেই সেখানে ভয়ের কারণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ সেনেগালের উত্তরাঞ্চল, মৌরিতানিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, মালির মধ্যাঞ্চল, বুরকিনা ফাসো’র উত্তরাঞ্চল, আলজেরিয়ার একেবারে দক্ষিণের এলাকা, নাইজার, নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনের একেবারে উত্তরের এলাকা, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, শাদের মধ্যাঞ্চল, সুদানের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল, দক্ষিণ সুদানের একেবারে উত্তরাঞ্চল, ইরিত্রিয়া এবং ইথিওপিয়ার একেবারে উত্তরাঞ্চল নিয়ে গঠিত এলাকাটিকে ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক সামঞ্জস্য বিবেচনায় ‘সাহেল’ নামে ডাকা হয়। আফ্রিকার এই সাহেল অঞ্চলের বেশকিছু দেশে আল-কায়েদা ও তালেবানের মতোই জিহাদি গোষ্ঠীর শক্ত অবস্থান রয়েছে।