তিউনিসিয়ার নতুন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকছে না
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার নতুন সংবিধানে কোনো রাষ্ট্রধর্ম থাকবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়িদ। আজ মঙ্গলবার তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
তিউনিস বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়িদ বলেন, ‘তিউনিসিয়ার এবারের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বলা হবে না। তবে, একে উম্মাহ গঠনের কথা বলা হয়েছে এবং সেই উম্মাহর ধর্ম থাকবে ইসলাম। উম্মাহ এবং রাষ্ট্র দুটো আলাদা জিনিস। আগামী ২৫ জুলাই সংবিধান নিয়ে গণভোট হবে।’
গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট সাইয়িদ খসড়া সংবিধানের কপি হাতে পান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়িদ বলেন, ‘সরকারপদ্ধতি প্রেসিডেন্সিয়াল হবে নাকি পার্লামেন্টারি হবে, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, জনগণের সার্বভৌমত্ব আছে কি না। আইনপ্রণয়ন ব্যবস্থা, নির্বাহী ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থা বহাল থাকা জরুরি এবং এগুলো অবশ্যই আলাদা থাকা দরকার।’
২০১৪ সালের তিউনিসীয় সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়াকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘ইসলাম এর ধর্ম এবং আরবি এর ভাষা।’
স্বৈরশাসক জাইন আল আবিদিন বেন আলীকে উৎখাত করে ২০১১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তিউনিসিয়ায়। ২০১৪ সালে আন্নাহদা পার্টি ও ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদলের সমন্বয়ে গঠিত সরকার সংবিধান প্রণয়ন করে।